দেখা না দেখা...

মায়ের সাথে তুমুল ঝগড়া চলছে, সাদা মাটা ঝগড়া না, একেবারে সাপে নেউলে (বেজি) ঝগড়া যাকে বলে! কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয় কিন্তু ঝগড়ার এক পর্যায়ে এসে মা ছেলে দুজনেই ভুলে গেছি আমরা কি নিয়ে ঝগড়া শুরু করেছিলাম। ঘরের অন্যান্য সদস্যরাও এসে আমাদের ঘিরে ফেলেছে কিন্তু কেউই ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করছেনা, হয়তো তাদের মজা লাগছে এই ঝগড়া দেখে। মা'কে কিছুটা ক্লান্ত মনে হচ্ছে, তিনি পাশে থাকা সোফায় বসে পড়লেন; সোফার হাতলে ডান হাতের আঙ্গুল দিয়ে তবলার বোলের মতো তেরে কেটে তাক তাক করতে করতে কিছু একটা মনে করার চেষ্টা করছেন বলেই মনে হলো। আমিও নতুন করে কিছু বলছিনা কারণ এই মুহুর্তে আমাকে ডিফেন্সিভ মুডে থাকতে হবে, কারণ পরিবারের সব সদস্যরা আমার বিরুদ্ধে চলে যেতে পারে। হঠাৎ যেন মায়ের কন্ঠে ক্লান্তি দূরে গিয়ে জোর ফিরে এলো, মা এবার চেঁচিয়ে বলতে শুরু করলেন, "এ্যাঁই তুই আমার সাথে ঝগড় করবি? ঝগড়া করবি? পুঁচকে ছাওয়াল কোথাকার! এখনো নাক টিপলে দুধ বেরোয়, মুখে তুলে খাইয়ে দিতে হয়, নিজের কাপড় চোপড় ইস্ত্রি দেয়া শিখেছিস? আর তুই কিনা আমার সাথে ঝগড়া করবি!

কান্না... (দ্বিতীয় পর্ব)

ঘড়িতে সকাল সাতটা বেজে কুড়ি মিনিট। কর্মজীবি মানুষের ঢল নেমেছে রাস্তায়, প্যাঁ পুঁ প্যাঁ পুঁ ভেঁপুর শব্দে কান ঝালা পালা তবুও মানুষ থেমে নেই, ছুটে চলছে জীবনকে ধারণের জন্য। এরপরও কিছু মানুষ থেকে যায় যারা ঘড়ির কাঁটাকে অগ্রাহ্য করে সারা রাত কাটিয়ে সব কিছুকে তুচ্ছ করে ঠিক এই সময়ে নাক ডেকে ঘুমোয়, আমি হচ্ছি তাদের একজন। দিনের শুরুটা কিভাবে হচ্ছে তা নিয়ে আমার কোন আগ্রহ নেই। আমি ঘুমোচ্ছি, কিন্তু তা হচ্ছেনা! অপরিচিত বিদেশী একটা নাম্বার থেকে বার বার কল আসছে আমার সেল ফোনে, ধরতে ইচ্ছে করছে না বলেই এক চোখ খুলে আবার বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু না বারবার কল আসছেই, জরুরী কল ভেবে ধরতে গেলাম কিন্তু আমার ডান হাত খুঁজে পাচ্ছিনা! আমার ডান হাতটা গেলো কোথায়?

কান্না... (প্রথম পর্ব)

একসাথে চারটি দাঁত যদি কোন দূর্ঘটনায় অকালে ভেঙ্গে যায় তবে না কেঁদে কি উপায় আছে ? আমিও কাঁদছি, না না ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না নয় একেবারে চোখের জলে ভাসিয়ে, কাঁদতে কাঁদতে দুপুরের ঘুমটা ভাঙ্গলো। ঘুম ভাঙ্গতেই হাসিতে ফেটে পড়ি, আমি যে বয়সে আছি সে বয়সটা কান্নার নয়, কান্না মানায় না একদম। ইংল্যান্ডের রয়েল ফ্যামিলির একটা নিয়ম আছে আর তা হলো রয়েল ফ্যামেলির কোন সদস্য প্রকাশ্যে কাঁদতে পারবেনা, কষ্ট যতই হোক তবুও না। দাঁত হারানো ত নস্যি কেউ যদি মারাও যায় তবুও কান্না কাটির কোন নিয়ম নেই তাই ত ১৯৯৭ সালে প্রিন্সেস ডায়না প্যারিসে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যাবার পরও ডায়নার দুই ছেলে উইলিয়াম ও হ্যারি কাঁদতে পারেনি কঠিন নিয়মের বলয়ে আটকা পড়ে যাওয়ায়।

ভেতর বাহির এবং আমি...

১.
ট্রেনের ফ্ল্যাট ফর্মে দাঁড়িয়ে
যে দুটো চোখ আমাকে
গিলে খেতে চেয়েছিলো-
ও দুটো চোখের বাহির দেখেছি শুধু,
দেখিনি ভেতরের চঞ্চলতা।

শেষ রাতের গল্প...

বাড়ে রাত ছাড়ে হাত
নির্ঘাত বেদনায়,
দেহ মন সারাক্ষণ
আমরণ বাসনায়।

মায়ার জাল

ধুত্তর সবই ছাই বিষ কালো মুখ তাই
কালো মুখে আলো ছায়া পড়ে কেন লুটে ?
বিষন্ন মন ভাবে এ্যাঁ কি শেষে হলো তবে
বলো তুমি খেলো কেন মন কেটে কুটে ?

যদি তোর ডাক শোনে কেউ না আসে...

আবহাওয়াবিদ আর জ্যোতিষীর মধ্যে পেশাগত ভাবে আমি খুব একটা অমিল খুঁজে পাইনা। উভয়েই ভবিষ্যৎ বাণী করে থাকেন কিন্তু মানুষ মাত্রই জানেন তাদের ভবিষ্যৎ বাণী অধিকাংশ সময়ে মেলেনা। যদ্দুর মনে পড়ে আমার ছোট বেলায় এক জ্যোতিষীর আগমন ঘটেছিলো আমাদের বাড়িতে। জ্যোতিষী আমাকে দেখেই চমকে উঠে বলেছিলেন এই ছেলেটা একদিন অনেক বড় হবে। জ্যোতিষীর ভবিষ্যৎ বাণীতে বিগলিত আমার বাবা মায়ের কাছ থেকে বেশ কিছু মাল কড়ি খসিয়ে সেই জ্যোতিষী কেটে পড়েন।

কবি শামছুদ্দিন খাঁ...

মাথার উপর ফুল স্পিডে ফ্যান ঘুরছে তারপরও শামছুদ্দিন খাঁ'র কপাল বেয়ে বিন্দু বিন্দু ঘাম ঝরে পড়ছে। ফ্যানের বয়সটা একটু বেশি হয়ে গেছে বলে বাতাসের চেয়ে শব্দটাই বেশি। ফ্যানটা যেন আর্তনাত করে বলছে কবি শামছুদ্দিন খাঁ এবার আমাকে অবসরে পাঠাও অনেক ত হলো আর কত ? কিন্তু ফ্যানের এই আর্তনাত কবি শামছুদ্দিন খাঁ'র কানে পৌছেনা তিনি উদাস হয়ে একটার পর একটা সিগারেট টেনেই যাচ্ছেন। তাকে যে করেই হোক মাথা থেকে আজ একটা কবিতা নামাতেই হবে। আগামীকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর। সেখানে নামি দামি অনেক কবি থাকবেন, পত্রিকা খুললেই যাদের লেখা নাকের ডগায় ভাসে।

ভেসে যায় বৃষ্টির জলে...

সময়েরা এতো দ্রুত পালায় কেন ? সময়েরা কি স্থির থাকতে জানেনা ? দেশে বিদেশে কত শত অদ্ভূত আইন কানুন তৈরী হয় মানুষের মধ্যে শৃঙ্খলা বোধ তৈরী করার জন্য, আচ্ছা এমন কি কোন আইন তৈরী করা যায়না যে আইনের বলে সময়েরা স্থির হয়ে থাকবে, একটুও নড়া চড়া করবেনা। যদি তাই করা যেত তবে হয়তো সোমা'কে কেউ আর ঘরে আটকে রাখতে পারতো না চোখের বেড়া দিয়ে। একটু একটু করে পালিয়ে যাওয়া সময়েরা সোমার সবটুকু শৈশব চুরি করে নিয়ে গেছে আর সেই সাথে হাতে ধরিয়ে দিয়েছে কৈশোরের টিকিট।

বাবা আমি তোমাকে ভালোবাসি...

বাবার কাছে থেকে উপহার পাওয়া তিনটা হাতির মধ্যে এখনো দুটো হাতি রয়ে গেছে...
বাবা, তোমার কি মনে পড়ে একদিন তুমি আমাকে তোমার প্রশস্থ কাঁধে করে ঘুরে বেড়িয়েছিলে সারা শহরময়? আমি এক হাতে তোমার চুল আর অপর হাতে তোমার গলা শক্ত করে ধরে রেখেছিলাম। বাবা, তোমার সেই কাঁধ ছুঁতে এখন আর আমাকে চেয়ারে কিংবা টেবিলের উপর উঠে দাঁড়াতে হয়না যেকোন অবস্থায় দাঁড়িয়েই ছুঁয়ে ফেলতে পারি অথচ তোমার সেই প্রশস্থ কাঁধে চড়া ত অনেক দূরের কথা এখন আমি ছুঁতেও পারিনা, মনের মধ্যে কি এক সংকীর্ণতা কাজ করে সহজ করে বললে বলবো খুব লজ্জা লাগে, আচ্ছা বাবা সন্তানেরা বড় হলে কি লাজুক হয়ে যায়? বাবা, তোমার কি মনে পড়ে একদিন আমরা একটি গ্রামে ঘুরতে গিয়েছিলাম, বিশাল বড় এক সাঁকো পাড়ি দিতে হবে আমাদের, আমি তোমার হাত ধরতে চেয়েছিলাম তুমি তোমার হাতটি ছাড়িয়ে নিলে তারপর আমার হাত তুমিই শক্ত করে ধরলে।

নিষিক্ত প্রেমের বিষাক্ত বাতাস

মাথায় জল ঢাললেই যে কোন নেশা কেটে যায়। কিন্তু শৌমিকের বেলায় তা একেবারেই প্রযোজ্য নয়। দুপুরে স্নান সারা হয়ে গেলেই শৌমিকের কফি পানের নেশাটা পেয়ে বসে। তখন এক কাপ কফি পান না করলে আর সে চোখ মেলে তাকাতেই পারেনা। অবশ্য শৌমিকের কফি পানের দৃশ্যটাও দেখার মতো। ঘরের সব কটা দরজা জানালা বন্ধ করে সবগুলো বাতি নিভিয়ে এ'সির কনকনে ঠান্ডায় ইজি চেয়ারে কফির মগ নিয়ে বসে। সবগুলো বাতি নিভিয়ে দিলেও ঘরটা পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে যায়না। ঘরের সিলিং ফ্যানের পাখায় রেডিয়ামের চাঁদ তারা লাগানো।

ভালোবাসা মোরে ভিখারী করেছে...

যখন ক্লাস থ্রি অথবা ফোরে পড়ি তখন এখনকার মতো বিনোদনের এতো সুযোগ সুবিধা ছিলোনা। সেসময় রেডিও খুব চালু মাল ছিলো। ঘরে ঘরে তখন রেডিও বাজতো। বিয়ের শাদীতে যৌতুক হিসেবেও রেডিওর খুব ডিমান্ড ছিলো। যারা যৌতুক নিতে এক কাঠি উপরে থাকতেন তাদের জন্য কাঠের বাক্সের সাদা-কালো টেলিভিশনই পয়লা পছন্দ। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে তখনকার সময়ের ছোটরা এখনকার মতো ছোটদের মতো বিনোদনের অত সুবিধা পেতনা। তাদের জন্য দিনের নির্দিষ্ট কোন একটা সময় টেলিভিশন দেখা বা রেডিও শোনার জন্য বরাদ্দ করা হতো। তেমনি ভাবে আমার জন্যও শুক্রবার ব্যতিত রাতের পড়াশোনা শেষে নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য টেলিভিশন দেখা জায়েজ ছিলো। যদ্দুর মনে পড়ে নাটকের নাম অয়োময়। প্রতি শুক্রবারে সকালে সেটা প্রচার হতো।

আমার স্বাধীনতা...

তোমায় আমি ভালোবাসি
তাইতো আমি অন্ধ,
বুঝতে চাইনি কিসে ভালো
কিসে আছে মন্দ।

তোমার কথায় উঠি বসি
রাত্রি কিংবা দিনে,

অধঃপতন...

ক্যারেম খেলোয়াড় হিসেবে একসময় আমার সুখ্যাতি ছিলো। আমাদের পাড়ায় তখন আমিই সেরা ছিলাম। এক চান্সে সব কটি গুটি একে একে পকেটে বা গর্তে পাঠিয়ে দেবার গৌরবময় মুহুর্তও আমার ভাড়াড়ে ছিলো অনেক কিন্তু পড়াশোনাতে মনোযোগ দেবার কারণে ক্যারেমের ভূত আমার ঘাড় থেকে ছুতরার পাতা (একধরনের ঔষধী গাছের পাতা, যা শরীরে লাগলে প্রচন্ড চুলকানীর সৃষ্টি হয়) ঘঁষে তাড়ানো হয়েছিলো। সেই থেকে আজ অব্দি ক্যারেমের স্ট্রাইকে আর হাত দিইনি। ক্যারেম খেলার প্রধানত কৌশল হচ্ছে একটা গুটি মারতে গিয়ে অন্য আরো একটা গুটিকে নিজের আয়ত্বে নিয়ে আসা সেই সাথে অপর পক্ষের গুটিকে পকেট যেতে বাধাগ্রস্থ করা।

ভুল সবই ভুল...

ভুল হয়েছে ভালো লাগায়
ভুল হয়েছে প্রেমে,
ভুল হয়েছে ঘোলা জলে
ভুলটি করে নেমে।

ভুল হয়েছে আসা যাওয়া
ভুল হয়েছে থামা,

দুনিয়ার প্রেমিক এক হও...

আমার চোখে সকাল নামে সাধারণত সকাল দশটার পর তাই সকালের নরম রোদের স্বাদ আমি পাইনা। ভোরের শিশির যদি কখনো গায়ে মাখতে পারি তখন সারাদিন খুব আরামেই কাটে কিন্তু আমি হয়তো অত আরাম চাইনা বলে শিশিরের স্পর্শ থেকেও দূরে থাকি। রাতের নির্জনতাকেই আপন করেছি বলে ভোর দেখাও হয়না খুব একটা। ভোর যখন আমার জানালার পাশে তখন আমি নাকে লোশন দিয়ে ঘুমাই (তেলে এখন ঝাঁঝ বেশি তাই লোশন দিই) তবুও মাঝে মাঝে খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গে যায় না ঘুমিয়েই। অতিসম্প্রতি একদিন না ঘুমিয়েই ভোর চলে আসে আমার দরজায়। আমি দরজা খোলে বের হই ততক্ষণে রাস্তায় অফিসমুখো মানুষের দৌড় ঝাপ শুরু হয়ে গেছে।

স্বীকারোক্তি - ৩

তুমি একটু থমকে দাঁড়াও
নাইবা দু হাত বাড়াও,
বলছিনা এই থমকে থাকা
হৃদয় আমার নাড়াও।

তুমি একটু এদিক চাও
নাইবা কথা দাও,

স্বীকারোক্তি - ২

সূর্য্যের আলো যায় মিলিয়ে
পাইনা তোমার দেখা,
চাঁদের আলোয় তারা গুনি
তাও একা একা;
তবুও বলি প্রেম আছে মোর
আছে প্রেমের ভাষা,

স্বীকারোক্তি

বলতে পারো খুব সহজে ভুলে গেছি ?
ভাবনা ছাড়া এইতো আমি বেঁচেই আছি;
ফেলে দেয়া স্মৃতি গুলো দেয়না নাড়া
কানের কাছে গান শোনাতে নেইকো তাড়া,
ফোনের ডাকে চঞ্চলা মন হয়না ব্যাকুল
বলতে পারো বুক ফুলিয়ে ভুল সবই ভুল ?

ভাষা বিভ্রাট...

হ্যালোওও মাই ডিয়ার লিশনার্শ... আপনাড়া ক্যামন আচেন ? আমড়া বালো আছি। ডিয়ার লিশনার্শ অ্যাজ কিন্টু ওন্য ডিনের মটো কোন সাঢারণ কোন ডিন নয়। অ্যাজ মহান মহান ইকুশে ফেবড়োয়াড়ী। শেই নাইন্টিন ফিফটি টু সালের অ্যাজকের এই ডিনে আমাডের মহাণ ল্যাঙ্গুয়েজ ওয়ারিওররা বুকের ফ্রেশ ব্লড দিয়ে আমাডের এই মহান বেঙ্গলী ল্যাঙ্গুয়েজ আমাদের গিফট করে গেছেন। সো লেটস গো টু সেলিব্রেট দিস ডে উইথ শোয়িং হাম্বল রেসপেক্ট টু দেম। ডিয়ার লিশনার্শ টাহলে চলুন একন আমড়া একটা আউসম সং প্লে করি... দিল নে ইয়ে কাহা হ্যাঁয় দিল সে, মহব্বত হ গায়ি হ্যাঁয় তুমছে, মেরি জান মেরে দিলবর......

অভিমানের ঝড়... (লিরিক)

পানসে দিন তুমি হীন প্রতিদিন
স্বপ্ন মন আজ এখন বেরঙ্গীন,
শব্দহীন মনবীণা আর বাজেনা
হাতে হাত রেখে-
সুদূর চলা বুঝি আর হলনা;
ভেঙ্গে গেছে ঘর আমি বেখবর

মহাকাল

কে রাখেনি আমার খোঁজ
আর ভাবিনা মোটে,
কারো আশায় কানন মাঝে
ফুল কখনো ফুটে ?

শেষ চাওয়া...

শেষ একবার চাইছি সুযোগ
বসবো একটু পাশে,
শেষ একবার জড়িয়ে নেবো
অনেক ভালোবেসে।

শেষ একবার দেখবো তোমায়
মুগ্ধ চোখের পাতায়,

রং নাম্বার... (দুই পর্ব একত্রে)

১৯৯৯ সালের মাঝা-মাঝি সময় থেকে আমি নিয়মিত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আসছি। আঙ্গুলের ট্যাবে হিসেব কষে সময়টা বের করতেই আঁৎকে উঠি ১৩ বছর, এক যুগেরও বেশী !! এই ১৩ বছরে মোবাইল ফোন নিয়ে কম অভিজ্ঞতা হয়নি। পোষ্ট পেইড বা রেন্টাল কানেকশান সহ (তখন প্রিপেইড বা পে এ্যাজ ইউ গো ছিলোনা) শুরুতেই এরিকসন (সনি এরিকসন নয়, তখন সনি এরিকসনের জন্মই হয়নি) ব্র্যান্ডের যে হ্যান্ডসেটটা ছিলো তা দিয়ে কল দেয়া নেয়া ছাড়াও যে কারো মাথা অনায়াসে ফাটিয়ে দেয়া যায় কারণ আকার আয়তন ও ওজনে সেটা ছোট খাটো একটা মুগুরের সমান ছিলো, প্যান্টের পকেটে আঁটতো'না আর কোনটাতে আঁটলেও হাঁটতে গেলে দৃষ্টি কটু ভাবে প্যান্টের পকেটটা ফুলে উঠতো কি এক বিশ্রী ব্যাপার। অবশ্য তখন অনেকেই মোবাইল হাতে নিয়ে হাঁটতো, এটা তখন বিশেষ গৌরবের ব্যাপার ছিলোও বটে!।

কারেন্ট বৃষ্টি ও প্রেয়সী...

কারেন্টঃ
তুমি যখন আমাকে অন্ধকারে রেখে চলে যাও
তখন ভুলে যাই আমি বিনয়ী, ভদ্র;
তোমাকে গাল মন্দ করে
তোমার চৌদ্দ গোষ্ঠি উদ্ধার করি নিমিষেই।
অথচ আমার এই অসভ্য আচরণকে
তুমি আমলে না নিয়ে

কোন সভ্যতা প্রজনন করি, কি আমার দায়ভার ??

কোন সভ্যতা প্রজনন করি কি আমার দায় ভায়?
একঃ
আমার এক বন্ধু বিদেশি কোম্পানীতে চাকরি করে। মাস শেষে যে মোটা বেতন পায় তা দিয়ে মোটামোটি নয় বরং স্বচ্ছন্দেই কেটে যায়। কিন্তু তার মনে দুঃখের সীমা নেই। এই দুঃখটা তার দু-বছর বয়সী এক মাত্র মেয়ে সন্তানের জন্য। মেয়েটা কিচ্ছু মুখে দেয় না। যা-ই মুখে তুলে দেয়া হয়না কেন মেয়েটা থু থু করে ফেলে দেয়। ডাক্তার, কবিরাজ, বদ্যি ওঝা কিছুই বাদ রাখেনি সবার কাছেই মেয়েকে নিয়ে গেছে চিকিৎসার জন্য। আমি যখনি তাকে ফোন করি সে বলে মেয়েকে নিয়ে অমুক ডাক্তারের কাছে আছে, অমুক পীরের কাছে ইত্যাদি। ডাক্তার, মেয়েটাকে দেখে প্রেসক্রিপশনের গায়ে Lost of Appetite লিখে নানান ধরনের ভিটামিন জাতীয় ঔষধ লিখে দেন কিন্তু কাজের কাজ কিচ্ছু হয়না। কবিরাজ, দুনিয়ার যত শক্তিশালী ঔষধি গাছের ছাল-বাকল দিয়ে তৈরী করা বড়ি ধরিয়ে দেন ওতেও মুক্তি মেলেনা।

বানান বিড়ম্বনা ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা...

আমাদের যেন আর বিড়ম্বনার শেষ নেই। ঘরে ও ঘরের বাইরে যেখানেই থাকিনা কেন বিড়ম্বনা প্রতি নিয়ত আমাদের পিছু ধাওয়া করে বেড়ায়, আমরা যতই পালিয়ে বাঁচতে চাই ততই যেন বিড়ম্বনার ফাঁদে আটকা পড়ি। আগেকার সময়ে ক্যাসেট প্লেয়ারে যখন গান শুনতাম তখন প্রিয় গান বাজাতে গেলেই ক্যাসেটের ফিতা হুইলে আটকে যেত সে এক মহা বিড়ম্বনা তারপর এলো কমপেক্ট ডিস্ক বা সি,ডি। ভাবলাম এবার বুঝি ফিতা প্যাঁচানোর যাতাকলে আর পড়তে হবে না। কিন্তু না সেখানেও না ঝামেলায় পড়তে হয়। স্ক্র্যাচ পড়া সিডি ফিতা ছাড়াই আটকে থাকে! তেমনি ভাবে আমাদেরকে অনেক কিছুতেই আটকাতে হয়, হতে হয় নানাবিধ বিড়ম্বনার শিকার। ঠোঁট নেড়ে কথা বলতে গেলে আমাদের খুব একটা সমস্যা হয়না, কোন রকমে উচ্চারণ করতে পারলেই মুক্তি লাভ করা যায়।

বানান বিড়ম্বনা ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা...

আমাদের যেন আর বিড়ম্বনার শেষ নেই। ঘরে ও ঘরের বাইরে যেখানেই থাকিনা কেন বিড়ম্বনা প্রতি নিয়ত আমাদের পিছু ধাওয়া করে বেড়ায়, আমরা যতই পালিয়ে বাঁচতে চাই ততই যেন বিড়ম্বনার ফাঁদে আটকা পড়ি। আগেকার সময়ে ক্যাসেট প্লেয়ারে যখন গান শুনতাম তখন প্রিয় গান বাজাতে গেলেই ক্যাসেটের ফিতা হুইলে আটকে যেত সে এক মহা বিড়ম্বনা তারপর এলো কমপেক্ট ডিস্ক বা সি,ডি। ভাবলাম এবার বুঝি ফিতা প্যাঁচানোর যাতাকলে আর পড়তে হবে না। কিন্তু না সেখানেও না ঝামেলায় পড়তে হয়। স্ক্র্যাচ পড়া সিডি ফিতা ছাড়াই আটকে থাকে! তেমনি ভাবে আমাদেরকে অনেক কিছুতেই আটকাতে হয়, হতে হয় নানাবিধ বিড়ম্বনার শিকার। ঠোঁট নেড়ে কথা বলতে গেলে আমাদের খুব একটা সমস্যা হয়না, কোন রকমে উচ্চারণ করতে পারলেই মুক্তি লাভ করা যায়।

আছো তুমি...

বাহিরে ভিতরে আছো আছো মন জুড়ে
মাকড়সার জাল হওয়া চেনা এ শহরে,
ফসলি সবুজ মাঠ অচেনা সেই গ্রামে
ঝাঁকে ঝাঁকে স্বপ্নেরা যেখানে থামে;
উড়ে যাওয়া সাদাকালো মেঘের আঁচলে
আচমকা ভিজে যাওয়া শ্রাবণের জলে,

নিষ্পাপ... (কন্ঠই যার কলঙ্কের ঢোল এর ৩য় পর্ব)

আমরা মানুষ বলেই ভুল করি আর মানুষ মাত্রই ভুল। বর্তমান পৃথিবীতে সম্ভবত এমন কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাবে না যে কখনো ভুল করেনি। এমনও কেউ নেই যে বুকে হাত দিয়ে নির্দ্বিধায় বলতে পারে আমি কখনো ভুল করিনি। কিন্তু আমি পারি! হ্যাঁ আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি তোমাকে কখনো ভুল করতে দেখিনি, তুমি কখনো ভুল করোনি। তুমি ভুল করতে পারোনা, ভুল কোন কিছু তোমাকে দিয়ে হয়না। আমার চোখে তুমি ছিলে ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে তাইতো তোমাকে মন খুলে এতোটা উজাড় করে ভালোবাসতে পেরেছি। তোমাকে ভালোবাসতে কখনোই কার্পন্য করিনি। অনেকেই বলে থাকেন ভালোবাসা নাকি অন্ধ! আমি প্রতিবাদ জানাই তাদের সে কথার।

বিবেক এবার তুমি জেগে উঠো নইলে চিরতরে মরে যাও... (কন্ঠই যার কলংকের ঢোল এর দ্বিতীয় পর্ব)

যারা পাগল তারা অন্যসব সাধারণ মানুষের কাছে উপহাস্য হলেও সেই উপসাহের অন্তরালে কিছুটা হলে করুণা বা মমতা লুকিয়ে থাকে। পাগলটা যখন তার স্বভাবসুলভ আচরণ শেষে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিদেয় হয় তখন ক্ষণিকের জন্য হলেও পাগলের কৃতকর্ম উপভোগ করা আশ পাশের সাধারণ মানুষের মন মমতায় আদ্র হয়ে উঠে, একটা দীর্ঘশ্বাসের পর কেউ কেউ হয়তো চোখের দুটো পাতাকে এক করে বলে উঠেন হায়রে পাগল !! কিন্তু যখন সাধারণ কেউ পাগলের ভূমিকায় অভিনয় করতে নামে তখন সে সাধারণ মানুষের উপহাস যেমন পায়না তেমনি পায়না কোন করুণা। তার জন্য স্বয়ংক্রিয় ভাবে বরাদ্দ থাকে লাঞ্ছনা, ঘৃণা আর অপমান।

কয়েক টুকরো প্রেম এবং তার পরিণতি...

১.
তারে ভালোবাসতাম আমি
সে কি মোরে বাসিত ?
ভালো যদি না-ই বাসিত
দেখলে কেন হাসিত ?

কইনি কথা তাহার সনে
লাজ শরমের ভয়ে,

হবে বলেও হচ্ছে না

প্রেমের টোপটা চিবায় শুধু
গিলবে বলেও গিলছে না,
বাড়িয়ে থাকা প্রেমের হাতে
ছুঁইছে কেবল ধরছে না।

একদিন যদি কাছে আসে
পরদিন দেখা মিলছে না,

আসা যাওয়া

বলতে পারো,
তোমায় কেন ডাকি ?
মনের মাঝে রঙ লাগিয়ে
তোমায় কেন আঁকি ?

বদ্ধ ঘরে ঘুমের ঘোরে
স্বপ্ন কেন দেখা,

সাদর সম্ভাষণ ১৪১৯ বাংলা

সহস্রাধিক দর্শকে ভর্তি হল রুম। আর মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হবে বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে বিশেষ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান "সাদর সম্ভাষণ ১৪১৯ বাংলা"। হল রুমের আলো একটু একটু করে নিভে আসছে, মঞ্চের সম্মুখের বিশালাকার কালো পর্দা ধীরে ধীরে উপরে উঠে যাচ্ছে তুমুল করতালির মধ্য দিয়ে উপস্থাপকের প্রবেশ ঘটলো মঞ্চে। সেই সাথে কুদ্দুসের বিরক্তিরও ইতি ঘটলো, এতোক্ষণ ধরে আবুল টিভি'র পর্দায় মুখ হা করে তাকিয়ে অপেক্ষা করছিলো কখন পহেলা বৈশাখের এই লাইভ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক আসবেন। কুদ্দুস এবার নড়ে চড়ে বসলো...

প্রণামী মাত্র বারো টাকা...

বাবারা সব সময় নিষ্ঠুর হয়না। কড়া মেজাজের অন্তরালে চড়া ভালোবাসা সব সময় প্রকাশ করেন না বলেই বাবাদের বেশির ভাগ সময় নিষ্ঠুর বলে মনে হয়। ছোট্ট বেলায় বাবা ভীতির পাশা পাশি বাবা প্রীতি যে একদম ছিলোনা তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। শৈশব কৈশর অতিক্রম করে এখন স্পষ্টতঃ বুঝতে পারছি যে বাবার সেই কড়া অনুশাসনের একমাত্র লক্ষ্য ছিলো সন্তানদের আকৃতিতে নয় বরং প্রকৃত অর্থে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। যদিও আমার বাবার লক্ষ্য আমাকে দিয়ে পূরণ হয়নি তার আগেই আমি লাইনচ্যূত হয়ে পড়েছি, বাবার লালিত স্বপ্নকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি নিজের অজান্তেই।

সাবধান মিসেস মূখার্জী...

দৃশ্য একঃ
ষোল বছরের এক বাড়ন্ত কিশোরী। শরীরের সাথে পাল্লা দিয়ে মনের বিশালতাও বাড়ছে ক্রমে ক্রমে। সদ্য ফেলে আসা শৈশবের স্মৃতিতে কৈশোরের স্বপ্ন স্থলাভিষিক্ত হচ্ছে রোজ রোজ। পরিবার কর্তা কর্ত্রীদের শাসনের বেড়াজালও সম্প্রসারিত হচ্ছে প্রতি নিয়ত তবুও স্বপ্ন বুনাতে কোন ভাটা পড়েনা। চিরচেনা চারপাশটাকে প্রতিদিনই নতুন মনে হয় নতুন নতুন অনুভূতির আগমনে। টেলিভিশনের পর্দায় নায়ক-নায়িকার আনন্দঘন মুহুর্তে আনমনে নিজেকেই বসিয়ে দেয় নায়িকার পাশে। স্কুলের ক্লাসে পাশের বেঞ্চে বসা সব গুলো ছেলেকে এক এক করে নিজের মনে টেনে এনে পরীক্ষা চালায় কোন ছেলেটি তার জন্য যুৎসই।

যাকাতের কাপড় না মৃত্যু ফাঁদ ?

রমজান মাস এলেই ইফতারীর দোকানগুলোতে নানান রকমের ইফতারের পসরা সাজিয়ে দোকানীদের বসে থাকতে দেখা যায়। নানান রকম মুখোরোচক ইফতারীর পসরা যেমন পথচারীদের নজর কাড়ে তেমনি রমজান মাস এলেই আমারো ভিন্ন একটা বিষয়ে নজর কাড়ে আর তা হলো যাকাতের কাপড়। রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশের বড় বড় কাপড়ের দোকানগুলোতে লাল কাপড়ের ব্যানারে সাদা অক্ষরে লেখা "এখানে অতি সুলভে যাকাতের কাপড় পাওয়া যায়" এই বিজ্ঞাপনটি নিশ্চয় আমার মতো অনেকেরই নজর কাড়ে। কিন্তু কেউ কি আমাকে বলতে পারবেন যাকাতের কাপড় মানে কি ? গুণ ও মান বিবেচনা করে কাপড়ের বিভিন্ন শ্রেণী বিভাগ আছে।

প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নিষিদ্ধ !!! বিশেষ করে বিবাহ যোগ্য সন্তানদের অভিভাবকগন, ভুলক্রমে নোটটা পড়ে ফেললেও হুমকি ধামকি দেয়া যাবেনা...

রাত তিনটা বাজে, বিছানা ঝেড়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। হঠাৎ করেই মোবাইল ফোন বেজে উঠলো। মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকাতেই দেখি শাহীন ভাই  (কিশোর শাহীন বিশিষ্ট সংগীত পরিচালক) ফোন করেছেন। আমি ফোনটা রিসিভ করতেই শাহীন ভাই কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললেন সুমন তুমি কি ঘুমাচ্ছো ? আমি স্বভাবসুলভ ভাবে একটু রসিকতা করে বললাম নাহ, এই সন্ধ্যায় কেউ কি ঘুমায় ? আমার এই ছোট্ট রসিকতা তাকে আনন্দিত করতে পারেনি। তিনি দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে বললেন সুমন আমি খুব ঝামেলায় আছি। কাল ক্ষেপন না করে আমি যথেষ্ট গম্ভীর্যতা কন্ঠে ফুটিয়ে তুলে বললাম কি হয়েছে ?

সে সময়, এ সময়, অসময়...

ঘাড়ে ছিলো না কেউ
ছিলো মাথার ভেতর হাজারটা
হাজার কল্পনায়।
ইস্কুল থেকে কলেজ
কলেজ থেকে ভার্সিটি
বাসার ছাদ থেকে
গলির সরু মাথা

শুধু শাস্তি চাইনা, এমন কিছু দৃষ্টান্ত চাই...

বিচার কার্যের শেষে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতেই দেশ ও জাতিভেদে নানান রকম শাস্তির বিধান রয়েছে। যে কর্মটি আমাদের দেশে অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য হয়তো অঞ্চলভেদে উক্ত কর্মটি অন্য কোন দেশে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। তবে একটি বিষয়ে সবাই সহমত পোষণ করবেন বলে আমার ধারণা, কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠির দ্বারা কোন মানুষের জান-মালের ক্ষতি সাধিত হলে ঐ ব্যক্তি বা গোষ্ঠিকে সবদেশেই নিঃসন্দেহে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তাঁর বা তাদের কৃত অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে যথার্থ শাস্তিও দেয়া হয়ে থাকে।

প্রজাপতি...

গত দুই তিন দিন থেকে শরীর খুব একটা ভালো নেই। আর শরীর ভালো না থাকলে মনটাও ভালো থাকেনা। শরীরের সাথে মন সব সময় প্রতিযোগীতা করতে চায়, এটাই বুঝি প্রতিটা মনের সহজাত অভ্যাসের একটি। সবকিছু মিলিয়ে মনটা আমার উপর বেশ গোঁস্যা করেই আছে। ভালো লাগেনা কোন কিছুই। মন এমন এক আশ্চর্য চিজ ছোট খাটো যে কোন কারনে বা অকারণেও খারাপ হয়ে যায়, ধ্বংসের পথে চলে যায়। মনকে ভালো রাখার জন্য আমরা কত রকমের কলা কৌশল প্রয়োগ করি আমিও তার ব্যতিক্রম নই, হরেক রকমের কৌশল প্রয়োগের পরও মনকে ভালো করতে পারিনি তার বদলে শরীরটা কোন রকমের যত্ন-আত্বি ছাড়াই নিরুপায় হয়ে একটু একটু করে ফিরে যাচ্ছে স্ব-স্থানে।

একদিন, এভাবেই প্রতিদিন...

১.
প্রতিদিনই তোমাকে নিয়ে
একটা কবিতা লেখা হয়ে যায়।
পড়তে গিয়ে কাঁটা কুটির চক্করে পড়ে
কিছু লাইন বাদ পড়ে,
উচ্ছিষ্ট সেই লাইনগুলো জোড়া দিয়ে
দিন শেষে আরো একটি কবিতা দাঁড়িয়ে যায়।

কন্ঠই যার কলঙ্কের ঢোল...

মোর কিছু ধন আছে সংসারে
বাকি সব আছে স্বপনে, নিভৃত স্বপনে।

স্বপ্নের ভেলায় ভেসে ভেসে অনেকগুলো স্বপ্নের জন্ম দিয়েছি, লালন করেছি আবার নিজেই তাদের গলা টিপে হত্যা করেছি। স্বপ্ন হত্যায় আমি আজ বড্ড ক্লান্ত। আমার এই ক্লান্ততার অযুহাতে বেঁচে যাওয়া স্বপ্নের নাম তুমি। তোমাকে ঘিরে জন্ম নেয়া স্বপ্ন গুলোকে হনন করতে পারছিনা, ক্লান্ত বলেই। ক্লান্ত না বলে ভীতু বলাটাই বোধ হয় যথার্থ হবে। ভীতু আমি ! প্রচন্ড সাহসীরাও ভীতু হয়ে পড়ে ঠিক আমার মত যুগে যুগে তোমাদের কারণেই ! আবার দঁড়ি দেখলেই সাপ মনে করা ভীতুরাও পরাক্রমশালী হয়ে উঠে তাও তোমাদের কারনে। তোমাদের কারণেই তৈরী হয় তাজমহল, তোমাদের কারণেই ধ্বংস হয় ট্রয় নগরী,

অকাল প্রতিভাবান এক কন্ঠশিল্পী ক্যারেন কার্পেন্টার...

ক্য ক আগে থেকেই টুকটাক ইংরেজী গান শুনলেও মূলত বাংলাদেশের অন্যতম পিয়ানো বাদক কাইসার মোহাম্মদ ইসলামের হাত ধরেই আমার ইংরেজী গান শোনা শুরু। "চিরহরিৎ" নামের অডিও রেকর্ডিং ষ্টুডিওতে তখন আমি প্রধান শব্দ প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত। তখন থেকেই কাজের ফাঁকে ইংরেজী গান শোনার পোঁকা মাথায় ঢুকে পড়ে। পশ্চাত্যের নামী দামি অনেক গায়কের গান শুনতে শুনতে একসময় ক্যারেন কারপেন্টারের গাওয়া "Top of The World" গানটা শোনে আমি আত্মহারা হয়ে যাই। কালক্রমে অনেক শিল্পীর কন্ঠ আমি শুনে বারবার মুগ্ধ হয়েছি কিন্তু ক্যারেন কারপেন্টারের কোন সমতুল্য আমি আজো খুঁজে পাইনি। ক্যারেন কারপেন্টারের জাদুকরী সুমিষ্ট কন্ঠ শুনে তাঁর প্রেমে পড়া লোকের সংখ্যা কম নয়।

আমাদের জাতীয় পতাকার যত্রতত্র ব্যবহার রোধ করি, আসুন জেনে নিই জাতীয় পতাকা ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট বিধানমালা...

সম্ভবত বিশ্বে যত জাতি গোষ্ঠি আছে তাদের মধ্যে বাংগালী জাতিকেই কেবল হুজুগে বলা হয়ে থাকে। অবশ্য বাংগালীকে হুজুগে বলার পেছনে কিছু কারণও আছে। আমরা যে কোন ঘটনার কারণ না খতিয়েই সে ঘটনা নিয়ে কাঁদা ছুঁড়া ছুঁড়ি করতে পছন্দ করি যা অন্য কোন জাতি গোষ্ঠির মধ্যে বিরল বলেই আমাদেরকে হুজুগে বলা হয়ে থাকে। বাংগালী জাতি খুবই আবেগপ্রবণ জাতি। আবেগ এক সংক্রামক ব্যধি যা খুব সহজেই পাশের জনকে সংক্রমিত করে ফেলে। কিন্তু সব কিছুতে আবেগ চলেনা। আবেগ প্রকাশের আগে আমাদেরকে প্রকৃত ঘটনা বুঝতে হবে। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, শহীদ দিবস বা বিভিন্ন জাতীয় দিবস এলে আমরা বাংলাদেশের পতাকা ব্যবহার করে দেশের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা প্রকাশের চেষ্টা থাকে।

যখন আমি মিথ্যেবাদী...

বেশ ক'দিন হয়ে গেলো কিছুই লেখা হয়নি। তাই হাতটা নিশপিশ করছিলো কিছু একটা লিখতে কিন্তু লিখতে বসলে কেন জানি আলস্য ভর করে কিবোর্ডে রাখা হাতের উপর আর মাথার ভেতর, তাই শেষ অব্দি আর কিছুই লেখা হয়ে উঠেনা। রমজান মাস আসার পর থেকেই দিনের দুই তৃতীয়াংশ সময় ঘুমে ঘুমেই কেটে যায় বাকি এক তৃতীয়াংশ গোসল করা সহ অন্যান্ন কাজে খরচ করে ফেলি তাই ইফতারের পর থেকে ক্লান্তি তাড়াতেই যেন পারিনা। ফেসবুকে বসে দু চার মিনিট সময় কাটাতেও যেন ক্লান্ত হয়ে পড়ি তাই বেডে শুয়ে শুয়ে টিভির রিমোটের বাটন টিপাটিপি করি কিন্তু কোন চ্যানেলেই চোখ স্থির রাখতে পারিনা।

কারে কয় ভালোবাসি

ভালোবাসা ছিলো দুজনার খুশি
দখিনা মলয় হাওয়া,
ভালোবাসা আজ তাশের ঘর
হঠাৎ ভেঙ্গে যাওয়া।

ঈদ মোবারক, ঈদের আনন্দ লেগে থাক সারা বছর জুড়ে, সবার ঘরে ঘরে।

বিশ্বের সমগ্র মুসলিম উম্মাহের জন্য বছরে দুইটি দিন বিশেষ আনন্দের। এই মহিমান্বিত দুইটি দিনের একটি হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর আর অন্যটি হলো পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। চলতি বছরে ঈদ-উল-ফিতর বা রমজানের ঈদ গত হয়ে আমাদের দ্বারে খুশির বার্তা নিয়ে পৌছে গেছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা বা কুরবানীর ঈদ। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে জামা কাপড়ের বাজারে গণজোয়ার সৃষ্টি হলেও পবিত্র ঈদ-উল-আযহার ঈদের জামা কাপড়ের বাজারে অনেকটা ভাটা পড়ে যায় তবে জোয়ার সৃষ্টি হয় কোরবানীর পশুর বাজারে।

যাকাতের কাপড় না মৃত্যু ফাঁদ ?

রমজান মাস এলেই ইফতারীর দোকানগুলোতে নানান রকমের ইফতারের পসরা সাজিয়ে দোকানীদের বসে থাকতে দেখা যায়। নানান রকম মুখোরোচক ইফতারীর পসরা যেমন পথচারীদের নজর কাড়ে তেমনি রমজান মাস এলেই আমারো ভিন্ন একটা বিষয়ে নজর কাড়ে আর তা হলো যাকাতের কাপড়। রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশের বড় বড় কাপড়ের দোকানগুলোতে লাল কাপড়ের ব্যানারে সাদা অক্ষরে লেখা "এখানে অতি সুলভে যাকাতের কাপড় পাওয়া যায়" এই বিজ্ঞাপনটি নিশ্চয় আমার মতো অনেকেরই নজর কাড়ে। কিন্তু কেউ কি আমাকে বলতে পারবেন যাকাতের কাপড় মানে কি ? গুণ ও মান বিবেচনা করে কাপড়ের বিভিন্ন শ্রেণী বিভাগ আছে।

বদলানোর তালিকা

বদলে দিলাম ঘুমের সময়
বদলে দিলাম ওঠা,
বদলে দিচ্ছি চিকন শরীর
যাচ্ছে হয়ে মোটা।

বেকারের একটা দিন...

যত যন্ত্রনার ঘুণ পোঁকা আমার মস্তিস্কে
নিঃশব্দে আঁচড় কাটে। কিছুই বলিনা
আমি; কিছু বলার নেই বলে।
সকালের সূর্য্য দেখিনা অনেক দিন,
সবুজ ঘাসের উপর ঠাঁই নেয়া
শিশর বিন্দুর স্পর্শ পাইনি
মাতাল নিদ্রার টানে।

আকন্ঠ ডুবে আছি নীলকন্ঠে

বই মেলায় যাওয়া হচ্ছেনা গত দুবছর থেকে, তাতে কি! এবার কিন্তু বই মেলা আমার দ্বারে এসেছে প্যাকেটবন্দি হয়ে প্রিয় মনিকা আপুর বদান্যতায়। স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো নীল আর সাদা রংয়ের ম্যাকাপ করা প্যাকেটের ভেতর থেকে তরতাজা বইয়ের ঘ্রাণে আমার মনটা ভরে উঠেছিলো যখন প্যাকেটটা আমার হাতে এসে পৌছায়। প্যাকেটটা ছিঁড়তে বড্ড মায়া লাগছিলো কিন্তু না ছিঁড়ে উপায় নেই কারণ এর ভেতরে আমার জন্য আরোও বড় বিস্ময় অপেক্ষা করছিলো। বড় যত্নে প্যাকেটটা খুললাম। তিন তিনটা জলজ্যান্ত বইয়ের স্পর্শ পেলাম মুহুর্তেই, এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার নয়। মজার ব্যাপার হলো তিনটা বইয়ের কভারেই স্বতন্ত্র তিনটা প্রাইম কালারের মিশ্রণে প্রচ্ছদ আঁকা। লাল, নীল এবং হলুদ ! এটা আরেকটা বিস্ময় আমার কাছে।

বিদায় বেলা...

আমাকে তুমি ভালোবাসতে
তোমাকে বাসতাম আমি,
হাসি গানে দিন কেটেই যেত
রাত্রিতে স্বপন চুমি।

এতোটুকু ফাঁক ছিলোনা কোথাও
তোমার আমার মাঝে,

নানান জাতি, অদ্ভুত বিবাহরীতি...

আমাদের এই পৃথিবীতে নানান জাতির মানুষের বসবাস। নানান বর্ণে নানান ভাষায় এসব জাতি বিভক্ত, তাদের রীতি নীতিও আলাদা। আমাদের সমাজের যে কর্মটি খুবই ঘৃণার চোখে দেখা হয়, হয়তো একই কর্মটি অন্য সমাজে সম্মানের তালিকায় রাখা হয়। বিয়ে প্রথা প্রতিটি সমাজেই আছে, কিন্তু সমাজ ও জাতি ভেদে বিবাহ রীতির অনুষ্ঠানাদি ভিন্ন ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তেমনি কয়েকটি বিচিত্র বিবাহ রীতি এখানে তুলে ধরা হলো।

কিছু স্মৃতি

স্মৃতি ঘরে কিছু টাটকা স্মৃতি পড়ে আছে
নেবে কি ফিরিয়ে তোমার দেয়া স্মৃতি ?
আর পারছিনা পরিচর্যা করতে রাখতে।

না না তুমি ভেবো না তোমার দেয়া
সিরামিকের কলম দানী এখনো অক্ষুণ্ণ আছে।

রাজনীতি তুমি কি, বড় জানতে ইচ্ছে করে...

ফেসবুকের পাতায় পরিচয় হয়েও ভৌগলিক দূরত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে যেসব বন্ধুরা আমার হৃদয়ের অন্দর মহলে ঢুকে পড়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম একজন বিদগ্ধ বন্ধু রায়হান হোসেন। অতি সম্প্রতি রায়হানের ফেসবুক প্রোফাইলে রাজনীতির গা ঘেঁষা একটা নোট পড়ে আমার মাথায় রাজনীতি কি তা জানার ভূত চেপে বসলো। (রা)তারাতি (জ)নপ্রিয়তার জন্য (নী)তি বিষর্জন দিয়ে (তি)লকে তাল করার নাম-ই কি রাজনীতি নাকি এর বাইরেও কিছু আছে যা সর্বসাধারণের জানার বাইরে ?

এক ব্যাগ সস্তা প্রেমের কবিতা

০১. কনফিউজড প্রেম
তোমার সাথে হয়না দেখা
হয়না কথা রোজ,
ভাবলে তোমায় কঠিন হৃদয়
যাচ্ছে হয়ে ন্যূব্জ।

মোচড়ে উঠে হৃদয় আমার
দেখলে তোমায় কভূ,

আমার বাজেট ভাবনা...

আর মাত্র কিছু দিন পরে ঘোষিত হবে আমাদের জাতীয় বাজেট। আসন্ন বাজেট নিয়ে এখনি শুরু হয়ে গেছে মাতা-মাতি কোথাও বা কিঞ্চিত হাতা-হাতি। উনুনের হাঁড়ি থেকে চায়ের কাপ, ফিটফাট বাবু থেকে মর্জিনার বাপ সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়বে বাজেটের আলোচনা বা সমালোচনার তিন কোণা, চার কোণা কিংবা খোলা দ্বার গোল টেবিল বৈঠকে। আমিই বা বাদ যাবো কেন ? নিজের এলোমেলো অপরিপক্ষ ভাবনা গুলো তাই সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবার সাধ জাগলো। আমাদের দেশটা গণতান্ত্রিক। গণতন্ত্রের লিপিবদ্ধ বা কেতাবি সংজ্ঞা আমার মুখস্ত সেই স্কুল জমানা থেকে কিন্তু গণতন্ত্রের ব্যবহারিক সংজ্ঞার সাথে  কেতাবি সংজ্ঞার কোন সাদৃশ্য আমি কখনো খোঁজে পাইনি। রাষ্ট্রের শুরু যদি হয় পরিবার থেকে তবে গণতন্ত্রের শুরু পরিবার থেকে কেন হবেনা ?

ভালোবাসায় জড়িত কিছু শব্দেরা

সুখঃ
যখন তুমি আমাকে একটু ভালোবাসো
মনে হয় পৃথিবীর সব গুলো সুখের স্বত্বাধিকারী আমি।
অল্প ভালোবাসায়ও যে অঢেল সুখ থাকে
তা জেনেছি তোমাকে আবিষ্কারের পর।

ঈদের আনন্দ লেগে থাক সারা বছর জুড়ে, সবার ঘরে ঘরে

বিশ্বের সমগ্র মুসলিম উম্মাহের জন্য বছরে দুইটি দিন বিশেষ আনন্দের। এই মহিমান্বিত দুইটি দিনের একটি হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর আর অন্যটি হলো পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। চলতি বছরে ঈদ-উল-ফিতর বা রমজানের ঈদ গত হয়ে আমাদের দ্বারে খুশির বার্তা নিয়ে পৌছে গেছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা বা কুরবানীর ঈদ। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে জামা কাপড়ের বাজারে গণজোয়ার সৃষ্টি হলেও পবিত্র ঈদ-উল-আযহার ঈদের জামা কাপড়ের বাজারে অনেকটা ভাটা পড়ে যায় তবে জোয়ার সৃষ্টি হয় কোরবানীর পশুর বাজারে। এসময় সমাজের বিত্তশালীরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কিনে কুরবানী দিয়ে থাকেন।

একশ কথা...

একশ কথার একশ মানে
একশ জনে বলে,
একশ মানুষ এক না হলে
একশ পথে চলে।

একশ পেশার একশ মানুষ
একশ কাজের ধরণ,

গণ জাগরণের নায়ক সঙ্গীত কিংবদন্তী পিট সিগার

গান গেয়ে বা শোনে মানুষ আনন্দে পা দোলায়, মাথা ঝাঁকায়, কিংবা পুরোটা শরীর সংগীতের তালে তালে নাচায়। কারণ বিশ্বের বেশীর ভাগ মানুষ গানকে বিনোদনের অংশ হিসেবে নিয়েছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই কিছু না কিছু ব্যতিক্রম দেখা যায়। তেমনি সংগীতও তার বাইরে নয়। কিছু কিছু গায়ক আছেন যাঁরা সংগীতকে শুধু বিনোদনের অংশ হিসেবে দেখেননি বরং সংগীতকে জাগরণের শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে মুঠো বন্দি করেছেন। গান গেয়ে মানুষকে করেছেন একতাবদ্ধ, আর একতাবদ্ধ নিপীড়িত সেই মানুষগুলো শোষক আর যুদ্ধবাজ  রাজার বিরুদ্ধে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে রাজ পথে নেমেছে।

গরমে টাল, তিল থেকে তাল !!!

সুগন্ধি ফেনিল জলে আকর্ণ ডুবে রই
আকিঞ্চন ভাবনারা বলে শুধু আমি কই,
হিমায়িত যন্ত্রের বরফের টুকরো'রা
বাপ বাপ ডেকে বলে ছেড়ে দে হতচ্ছাড়া;
এইবার মুক্তি দে অলিখিত শর্তে
বাথাটাবের ফেনা জলে মিশে গেলাম মরতে,

অভিনব প্রতারণা...

সময় সকাল ১০টা ১৭ মিনিট >>>
০১৭৪****...... ক্রিং ক্রিং ক্রিং
- হ্যালো, হ্যালো কে বলছেন ?
- শুভ সকাল, স্যার আমি গ্রামীণ ফোন কাস্টমায় কেয়ার থেকে বলছি।
- জ্বি বলুন।
- প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি,

আজব দেশ !!

কেউ বলছে দেশটা আমার
বাপের টাকায় কেনা,
কেউ বলছে না না আমার
স্বামীর ষোল আনা।

কেউ বলছে আমিই বন্ধু
শহর এবং গ্রামে,

৩৩ দিনের ভালোবাসা !!

"সুমন এই পৃথিবী থাকবে যতদিন তোমাকে ভালোবেসে যাবো ৩৩ দিন !!!" খুবই হাস্যকর একটা ব্যপার। এর কোন মানে হয়না। কারো কারো  কাছে হয়তো ব্যপারটা খুবই হাস্যকর ঠেকতে পারে কিংবা মূল্যহীন হতে পারে কিন্তু আমার কাছে এই লাইনটা বা এই কথা গুলো জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জনের একটা। তাহলে মূল প্রসংগে যাওয়া যাক। ১৯৯৫ সালের মাঝা মাঝিতে প্রথমবারের মতো একা একা কাউকে কিছু না বলে হুট হাট করে ঢাকায় চলে আসি। উদ্দেশ্য বাংলাদেশের পপ সম্রাট আজম খানের সাথে দেখা করা। তখন আমি আজম খানের এতোই অন্ধ ভক্ত ছিলাম যে আজম খানের প্রতিটি গানের লাইন আমার কন্ঠস্থ।

বসন্ত আসুক তোমাদের জন্য

একটা সুপার সনিক কম্পিউটারের থেকেও নাকি মানুষের স্মৃতি ধারণ ক্ষমতা কয়েক লক্ষ গুণ বেশী ! মানুষের কার্যক্ষমতা কম্পিউটারের মত তড়িৎ না হলেও কম্পিউটারের চাইতে বেশী বিস্তৃত। আমার মাথার মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবেই স্থাপন করা স্মৃতি ভান্ডারের সমস্ত স্মৃতি একত্রিত করে বিস্তৃত ক্ষমতা দিয়ে খুঁজতে লাগলাম কখনো পরিকল্পনা করে করেছি এমন কোন ডাটা খুঁজে পায় কিনা। অনেক ঘাঁটা ঘাঁটির পর মস্তিষ্ক সংকেত দিলো, না এমন কিছু খুঁজে পায়নি। তার মানে আমার যাপিত জীবনে পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়িত হয়েছে এমন কোন তথ্য নেই।

সুখ বিক্রি আছে

প্রথমবার যখন তার সাথে দেখা হয়
ভারী স্বচ্ছ কাঁচের ওপাশে
ছলছল করা চোখের দিকে তাকিয়ে
যে সুখ পকেটে ভরেছিলাম
তার সবটাই খরচ হয়নি এখনো
কিছুটা রয়ে গেছে জমা আজো।

কবি

আমার মাঝে তোমার ছবি
তাইতো আমি হলাম কবি
পাইনি আজো তোমার হাতের
পুষ্প কোমল ছোঁয়া,
তোমার আশায় দিন কেটে যায়
বন্ধ নাওয়া খাওয়া৷

বন্দি

ইট কংক্রিটের জঞ্জাল পেরিয়ে আকাশ
দেখা হয়না কত্তদিন।
গ্রিল দেয়া জানলার ফাঁক গলে দৃষ্টি সীমায়
যতটুকু আকাশ মেলে ওটুকুই আমার।
সূর্য্যটাও আমার চোখ ফাঁকি দিয়ে
এদিক ওদিক উঠা নামা করে প্রতিদিন,
আর চাঁদ! সেও অধরা মেঘের ছলনায়।

সময়ের খেলা

আধ খানা প্রেম মোর আধো শিহরণে
এক পা বাড়ালে তার তিন পা পিছনে,
পিছনে যেতে যেতে ঠেকে পিঠ দেয়ালে
প্রেমের জোনাকী তবু নিভে আর জ্বলে;
নিভে জ্বলে জোনাকটা আর জ্বলে মন
মন জ্বলা মন ঘড়ি ছুটে হন হন।

কম্পন

সখী আজকের ভূ-কম্পন দেখেছো ?
ঘরের শক্ত ভিত্তিটা কেমন করে
কেঁপে উঠেছিলো বুঝেছো কি ?
ঘরের মসৃণ দেয়ালে কি ফাটল ধরেছে ?
বইয়ের তাক থেকে ক'টা বই সিটকে
পড়েছিলো তা কি গুনে রেখেছো ?

তোমার জন্য...

তোমার জন্য ভাংবো আমায়
গড়বো তোমার জন্যে,
তোমার জন্য একলা হবো
মূখর জনারণ্যে।
তোমার জন্য হাঁটবো আমি
কন্টক পিচ্ছিল পথে,

বৈশাখ এবং আমি

আমি কোন পেশাদার লেখক নই, টুকটাক যা লেখা হয় তা নিতান্তই শখের বসে। তাই বিশেষ কোন উপলক্ষ্যে পেশাদার লেখকদের মতো আমাকেও যে লিখতে হবে এমন কোন কথা নেই। তবুও মাঝে মধ্যে যেহেতু একটু আধটু লেখা হয় তাতেই আমার কিছু ভালো শুভাকাঙ্ক্ষী জুটে যায় এবং তাদের আবদার মেটাতে গিয়ে এখন মাথার চুল ছিঁড়ি। গত দু-তিন দিন থেকে আমার হাতের আঙ্গুলে গুনা ক'জন শুভাকাঙ্ক্ষী বারবার তাগাদা দিচ্ছিলো নব বর্ষ নিয়ে নতুন মাল ডেলিভারী দেবার জন্য কিন্তু তাদেরকে বুঝানো অসম্ভব যে প্রোডাকশন না হলে ডেলিভারী দেবো কিভাবে ?

রম্য কাব্য চর্চা...

জবরুল আলম সুমন:
৭১ এনে দিল স্বাধীনতা দেশে
৯০ দিল গণতন্ত্র স্বৈরতন্ত্রের শেষে,
তন্ত্র মন্ত্র ভুলে মানুষ বুক ভরেছে আশায়
সকল তন্ত্রই দিচ্ছে হানা এখন আমার বাসায় !!!

সুখের ঘর

যে চোখে যে স্বপন ছিলো
আজিকে তা কোথায় গেলো ?
সেথা আবার কোথা হতে
আসলো নতুন আশ;
আমার চোখেই আগের স্বপন
রইবে বারো মাস।

জীবনের সংজ্ঞা...

রাতের শেষ প্রহরে পিসি'র মনিটরের দিকে তাকাতে তাকাতে চোখ জ্বালা পোড়া করছে তারপরও মনিটরের পর্দা থেকে চোখ সরাতে ইচ্ছা করছেনা, আধো চোখে তাকিয়ে আছি অপলকে; কেউ কি নতুন কিছু দিলো ? হ্যাঁ এইতো দুটো নোটিফিকেশন আর একটি মেইলের লাল আলোরা আমার অপেক্ষায় জ্বলে আছে। প্রথমে মেইলটা খুললাম অপরিচিত একজন মেইল করে অবিনীত ভাবে জানতে চাইলো জীবনের সংজ্ঞা কি ? এই ছোট্ট একটা প্রশ্ন করে বেচারা হয়তো নাক ডেকে ঘুমুচ্ছে কিন্তু আমার মস্তিষ্কে যে প্রশ্নটা ঢুকিয়ে দিলো তার উত্তর বের করতে করতে ক্লান্ত রাতের ছুটি। সত্যিইতো জীবনের সংজ্ঞা কি ?

প্রযুক্তির বিড়ম্বনা

121 Dialing... প্যুঁউত প্যুঁউত প্যুঁউত... শুভ সন্ধ্যা... Dear Star Subscriber Welcome. বাংলায় শুনতে চাইলে ১ চাপুন, For English Press 2... (চাপলাম ১...) বিল সংক্রান্ত তথ্যের জন্য ১ চাপুন, ওয়েলকাম টিউনের জন্য ২ চাপুন, FnF এবং ভ্যালু এ্যাডেড সার্ভিসের জন্য ৩ চাপুন, ইন্টারনেট সেবার জন্য ৪ চাপুন, কাষ্টমার ম্যানেজারদের সাথে কথা বলতে ৫ চাপুন... চাপলাম ৫... (মিনিট খানেক গ্রামীণ সঙ্গীত শোনানোর পর...)

আমার দিদি নীলাঞ্জনা

প্রতিটা মানুষেরই একটা ব্যক্তি পরিচয় থাকে। কেউ আশাবাদী, কেউ নৈরাশ্যবাদী, কেউ বাস্তববাদী আর আমি হলাম প্রশ্নবাদী !!! জীবনের প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে নানান রকমের অপ্রথাগত বেকুবী প্রশ্নের উদয় হয় মাথার মধ্যে। কখনো কখনো আমার বেকুব প্রশ্নগুলো তার যোগ্য উত্তর পেয়ে ক্ষ্যান্ত হয়ও বটে! তেমনি ভাবে সহজাত একটা প্রশ্ন মাথার মধ্যে উষ্ঠা খাচ্ছিলো, একটা মানুষের কতটা গুন থাকতে পারে ?

লাগাম ছাড়া যন্ত্রণা

ভালোবাসায় আছে বুঝি সুখ
তাই তোকে লিখে দিই বুক,
বুক দিয়ে সুখ গুলো আমি
নিলামে উঠাই;

আমার পণের আড়ালে

এখনকার বাবা/মায়েরা হয়তো তাদের সন্তানকে আদর্শ লিপি পড়তে দেননা। আদর্শ লিপি চোখেও পড়েনা অনেক দিন থেকে। আমার মনে আছে স্কুলে ভর্তি হবার আগেই ঘরে বসে আমি আদর্শলিপি পড়েছিলাম। তৎকালীন সময়ে ৩ ইঞ্চি বাই ৪ ইঞ্চি সাইজের লাল রঙের আদর্শ লিপি বইয়ের মূল্য ৫০ পয়সা হলেও তার ভেতর যে কথাগুলো ছিলো তার মূল্য টাকা দিয়ে নির্ধারণ করা আদৌ সম্ভব নয়। যতটুকু মনে পড়ে মদনমোহন তর্কালংকারের "আমার পণ" কবিতাটা মুখস্ত করা ছিলো বাধ্যতামূলক।

ঈদের আনন্দ আসুক সবার জন্য...

আর মাত্র দু'দিন পরেই পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দে ভাসবে বিশ্বের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠী। সারা বছরে ঈদ আসে দুটি, একটি ঈদ-উল-ফিতর বা রমজানের ঈদ অন্যটি ঈদু-উল-আযহা বা কোরবানীর ঈদ। রমজানের ঈদ নিয়েই সবার মাঝে আনন্দটা বেশি তাই সবাই উৎসবে মুখর হয়ে উঠেন রমজানের ঈদ এলেই। একারণে ইসলাম ধর্মের সবচে বড় ধর্মীয় উৎসব হিসেবে ঈদ-উল-ফিতরকেই গণ্য করা হয়। যারা জামাতের সাথে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে রোজার কঠিন নিয়মাবলী যথাযত ভাবে পালন করেছেন ঈদ আসে তাদের জন্য।

নতুন দিনের গান

আজ আর নেই কোন কথা
মুছে ফেলো অতীতের ব্যথা,
সামনে দেখো দু-চোখ তুলে
সব স্মৃতি লোপ পাক মনের ভুলে;
নিশাচর পাখি গায় আনন্দ বেদনায়
সেই গান যাক ছেঁয়ে দুটি মনে,
আজ পেয়েছি তোমায় আমি অনেক দিনে
হারাতে দেবো না আর এই জীবনে।

দাও ফেলে ছিলো যত না পাওয়ার গান
দুঃখের মিছিলের হোক অবসান,

সঙ্গীত কিংবদন্তী হযরত আমির খসরু...

আমার দূর্ভাগ্য যে আমার বাবা আমার নানার বাড়ীতে বিয়ে করেন !! আর আমার নানার বাড়ীটাও এতোই কাছে যে একটা ক্যান্ডি মুখে দিয়ে দুটো কামড় বসানোর আগেই নানার বাড়ীতে পৌছা যায় ! ঢাকায় যারা বসবাস করেন তাদের পায়ে কোন সমস্যা না থাকলেও মনের মধ্য একটা সমস্যা সব সময় বিরাজ করে আর তা হচ্ছে অতি রিক্সা ভক্তি ! কিন্তু আমার বাড়ী থেকে আমার নানা বাড়ী যেতে অতি রিক্সা ভক্ত কেউও রিক্সা নিতে চাইবেনা।

এপ্রিল ফুলের আদ্যেপান্ত

গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডারের চতুর্থ মাসের বা এপ্রিলের পহেলা তারিখকে কেন্দ্র করে বিশ্ববাসী একে অন্যেকে বিভিন্ন ভাবে বোকা বানিয়ে যে হাস্যরস সৃষ্টির সংস্কৃতি চালু করেছিলো কালের পরিক্রমায় আজ তা এপ্রিল ফুল হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। এপ্রিল ফুলের সংস্কৃতি চালু নিয়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে ভিন্ন ভিন্ন মত ও যুক্তি চালু আছে। বিভিন্ন ইন্টারনেট ও বিভিন্ন সূত্র ঘেঁটে এপ্রিল ফুল নিয়ে যেসব তথ্য আমি বের করেছি তার কিছু অংশ আজ আমি পরিবেশন করছি। প্রাচীনকালে জনপ্রিয় উৎসবসমূহ পালিত হত বসন্তকালীন বিষূব সময়ে (Vernal Equinox), অর্থাৎ যে সময়ে দিনরাত প্রায় সমান থাকে।

আজি ভালোবাসার দিন

আজ নয় অতীত স্মৃতি চারণ
আজ নয় বিষাদের কথোপকথন,
আজ নয় বিরহের সুর
আজ ভালোবাসার দিন
ভালোবাসার সুরের সন্ধিতে।

একটি ফালতু ফোর্থ জেনারেশন ত্রিভূজ প্রেমের কবিতা অথবা গান

শীলাকে চাই আমি আপন করে
নীলাকেও পারিনা রাখতে দূরে,
দুজনকেই চাই আমি আমার সাথে
ভাবনাটা দানা মেলে সকল রথে;
এ যে ত্রিভূজ প্রেম আমার ত্রিভূজ প্রেম
বন্ধুরা ভেংচি কেটে বলে Shame Shame Shame !

আশা...

নাহি পরিচয় তবু কথা হয় উহাই যখন রটে
রটিলো যাহা ঘটিলো পরে সত্যি হইলো বটে,
সুদূরের তুমি অদূর হইয়া নিয়াছো হৃদয় টানি
আসিলেও ঝড় ভাঙ্গিবে না ঘর দিয়াছো কথা খানি।

ক্রেতা...

শুধু হেঁটেই চলেছি জীবনের পথে এতটা পথ
কখনো হিসেব করিনি কতটা হেঁটে এলাম
কিংবা আর কতটা হাঁটলে পাবো জীবনের গন্তব্য
হিসেব না কষেই কেবল হেঁটেই চলেছি অবিরাম।

গলিত স্বপ্ন

তুমি হৃদয়ের দ্বারে দিয়েছো তালা
দেবো না উঁকি আর,
আমি অনেক বুঝে বুঝিয়ে নিজেকে
হয়ে গেছি হুশিয়ার।

তুমি সম্মুখে কেবল উস্কানী দাও
মুখে মুখে ভালোবাসা,

প্রতীক্ষা

আমার সমস্ত স্বত্ত্বা জুড়ে
শুধু তোমার প্রতিচ্ছিবি,
জীবনে অধ্যাবসায়
সে ত তোমাকেই ঘিরে।
তন্ময় এ চোখ তোমাকে
শুধু তোমাকেই খোঁজে,

দূরের সখা

ভালোবাসায় যাচ্ছে চাপ
ধরছে মাথা বাড়ছে তাপ,
খাচ্ছি আবার ইচ্ছে মতোই
স্বপ্ন ঘোলা জল;
উড়ছি কেবল ঊর্ধ্বপানে
ছুঁইনা ধরাতল।

স্বনির্বাসন

পথে নামা হয়ে গেছে সেই কবে
এতো দিন থেমে ছিলাম
আজ হাঁটা ধরবো সব বাঁধন ভুলে।
আমাকে পেরোতেই হবে এই পথ
যে পথের সীমান্তে আছে শুধুই নির্জনতা।

হ-য-ব-র-ল

ওহে হৃদয় খেঁকো নারী
আর সইতে নাহি পারি,
এ্যঁ কি ঘটছে আমার ঘটে
পল্টি খাওয়া হৃদয় আমার
উল্টা পথে হাঁটে !
সাবধানের নাই মার
তাই যাইনা কারো ধারে,

চলো পালাই (লিরিক)

চলো পালাই এ গ্রহ থেকে
মরতে চাইনা ধুঁকে ধুঁকে
হতে চাইনা কারো পণ্য,
জীবনটা যায় ভেসে
শত তন্ত্রের দোষে
মানুষরা হয়ে গেছে বন্য।

প্রশ্ন...

কাছে এলে পাছে যদি
হয় ভালোবাসা,
দূরে দূরে তাই থাকি
চাইনি কাছে আসা।

তুমি ভাবো আমিও ভাবি
ভাবি দুজনায়,

আছে...

আছে রাত আছে দিন
আছে মন ভাবনাহীন
আছে আমার ভেতর-
আমি অন্তরিন,
আছে নিদহীন দুটি চোখ
আছে তোমার বক বক
প্লিজ কেউ আমায়
ছাড়িয়ে নিন।

তুমি আসবে বলে

তুমি আসবে বলে কান্নারা সব
পালিয়ে হলো হাওয়া,
তুমি আসবে বলে কষ্টের ভীড়ে
সুখের গান গাওয়া।

তুমি আসবে বলে দুঃস্বপ্নেরা
গুটিয়ে নিয়েছে থাবা,

শিশু...

অবুঝ শিশু বলে হেলা সবাই করে
ধরেনা কেউ হাত মোর মায়ার ডোরে,
আশাহীন ফুটপাতে বাড়ি ঘর বাঁধি
নীরবে চোখের জলে কাঁদি নিরবধি।
পাইনি স্নেহ মায়া মম পিতা মাতার
ঘুচেনা মনের দুঃখ জুটেনা আহার,

ঈশ্বর এখন ঘুমিয়ে...

ভোর ঘেঁষা রাত্রিতে
ঈশ্বর তোমার দরজায় আমি প্রার্থনায় রত।
তুমি হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছো,
তাই ফিরে যাচ্ছি ক'ফোটা বিষাক্ত অশ্রু
তোমার বারান্দায় রেখে।
ভোরের নরম সূর্য্যের আলোয় হয়তো
আমার অশ্রু বিন্দু শুকিয়ে যাবে
তবুও দাগ দেখে বুঝে নিও আমি এসেছিলাম।

তীর্থের জন্য ছড়া...

মা বলেছে পড়তে আমায়
কে কার কথা শোনে,
পড়া শোনা কি আর এমন
মন যদি না টানে।
তারচে বরং খেলি চলো
গা'য়ে মেখে ধূলো,

যে গান বিশ্বের...

We shall overcome
We shall overcome
We shall overcome some day.
Oh, deep in my heart
I do believe
We shall overcome some day...

হায় সভ্যতা !!! সভ্যতার লেবাস পরিহিত পশ্চিমারা, আমরা আধাপেটা বাঙ্গালী তোমাদের চাইতে অনেক ভালোই আছি।

শুক্কুর আলী গঞ্জ থেকে সদাই পাতি কিনে বাড়ীতে ফিরছেন। গ্রামের মেঠো পথে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ীর পাশে লাগোয়া কাঁঠাল বাগানে ঢুঁ মারতেই তাঁর চোখ আটকে যায় একটি কাঁঠাল গাছের ডালে। একই গ্রামের সহজ সরল ছেলে হিসেবে খ্যাত মন্টু মিয়ার কাঁঠাল চুরির দৃশ্য দেখে শুক্কুর আলীই বা কেন যে কারো চোখে ধাঁধাঁ লাগবে তার উপর যদি মন্টু মিয়া হয় গ্রামের মোড়ল চাঁন মিয়ার পুত্র। শুক্কুর আলীর চোখ সহ্য করেনি মন্টু মিয়ার কাঁঠাল চুরির দৃশ্যটি, তাই গলার স্বরটাকে কাঁঠাল গাছের ডাল সমান উঁচু করে হুংকার ছাড়লেন।

দশ ফুট বাই দশ ফুট...

যখন অনেক ছোট্ট ছিলাম সবে মাত্র অক্ষরগুলোকে যুক্ত করে শব্দ তৈরী করতে শিখেছি তখন কোত্থাও যদি "সুমন" নামটা লেখা দেখি তখন বড়ই ভালো লাগতো। দোকানের সাইন বোর্ডে, গাড়ীর গায়ে, কোন পণ্যের মোড়কে কিংবা পত্রিকার পাতায় পাতায় আনমনেই "সুমন" নামটা খোঁজে বেড়াতাম। কাংখিত নামটা খুঁজে পেলে আনন্দে লাফা-লাফি শুরু করে দিতাম। ওই সময়ের ছেলে পুলেরা ডাক টিকিট, বিদেশী মুদ্রা, ফোন কার্ড সহ বিভিন্ন শিক্ষা মূলক বস্তু সংগ্রহ করে বেড়াতো আর আমি ছাপার অক্ষরে নিজের নাম সম্বলিত যে কোন কিছুই পরম যত্নে সংগ্রহ করে বাক্সে ভরে রাখতাম !!!

একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে

বৃষ্টিকে অপছন্দ করার কোন কারণ নাই বরং একটা সময় ছিলো যখন নির্দিষ্ট সময়ে বৃষ্টির জন্য মনে মনে প্রার্থনা করতাম। ঈশ্বর তখন বেশীর ভাগ সময়ে আমার অনুকূলে ছিলেন বলেই শুল্ক ভ্যাট ছাড়াই আমার প্রার্থনা কবুল হয়ে যেতো। ক্লাস টু পড়ুয়া কোন অবোধ ছেলের প্রার্থনা ফিরিয়ে দেবার মতো ধৃষ্টতা ঈশ্বর অত সহজে দেখাতেন না। পেট ব্যাথা বলে আর ক'দিন স্কুল কামাই করা যায় তারচে বৃষ্টি এলেই ঘর বন্দি হয়ে থাকা যায় স্কুল যাবার জন্য পথে নামতে হয়না। এখন সময় পাল্টে গেছে পা বাড়ালেই স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি। ফুটপাতে পান সিগারেটের অস্থায়ী দোকানের মতো ভার্সিটির দোকান গুলোও যে থরে থরে সাজানো যেন তারা ডিগ্রির পসরা সাজিয়ে বসে আছে।

কবিতা, একটি জীবনের বিনিময়ে

ডায়েরির পাতায় লেখা হয়েছিলো
সেই দিন গুলি
যেদিন তোমার হাত প্রথম ধরেছিলাম
যেদিন দুটি ঠোঁট এক হয়ে গিয়েছিলো সেদিনও,
শুধু কবিতা লেখা হয়নি।
কবিতা লেখবো লেখবো বলে ডায়েরির পাতা-
ভর্তি হয়ে গিয়েছিলো জমানো স্মৃতিতে।

উষ্টা খাওয়ার আগে ও পরে

উষ্টা খাওয়ার আগেঃ
চাইনা কিছুই তোমায় ছাড়া
তোমার আছে জানা,
তোমায় পেলে ধন্য জীবন
হবে ষোল আনা।

এমন কথা বলতে প্রেমে-
উষ্টা খাওয়ার আগে,

অপেক্ষা

এই যে শুনছো, আমি এখানে এখন;
মাঠ ঘাট পেরিয়ে সব কিছু ছাড়িয়ে
বিবেকের দ্বারে তালা দিয়ে
জাগতিক সব বন্ধন ভুলে গিয়ে
এখানেই পড়ে আছি,
যেখানে নেই কোন পিছুটান
নেই কোন কিছু পাবার প্রত্যাশায়
মিছে মিছি প্রহর গুনা।

ভীষণ মনে পড়ে

ভাবছি বসে সেই দিনটি আর কি পাবো ফিরে
বাইরে যখন ব্যস্ত সবাই আমরা একটি ঘরে,
তোমার মাথা আমার বুকে যত্নে ধরা হাত
এমনি করে কাটিয়ে দেয়া সকাল থেকে রাত।
মান অভিমান সবই ছিলো অধর আদর সহ
সুখের গিরি বেয়ে উঠায় ক্লান্ত দুটি দেহ,

মৃত্যু আঁকি রঙ তুলিতে

মনে এক আকাশ বেদনা
বুক ভরা অভিমান,
নেই কোন কিছুতে কারন
চলছি বেমানান।

আমার স্বপ্নে হৃদয় ভরা
তুচ্ছ সবাই ভাবে,

স্বপ্ন, কষ্ট ও রাত্রি

স্বপ্নঃ
স্বপ্ন দেখো না, স্বপ্ন হারিয়ে যাবে
স্বপ্ন দেখো না, স্বপ্ন মিথ্যে হবে
স্বপ্ন দেখো না, স্বপ্ন দূরে চলে যায়
স্বপ্ন দেখো না, স্বপ্ন ডাকে হতাশায়
স্বপ্ন দেখো না, স্বপ্ন পুড়তে শিখেছে
স্বপ্ন দেখো না, স্বপ্ন ভুলতে জেনেছে

হতচ্ছাড়া কিছু ছড়া

১.
বার বার করি ভুল, চুল থেকে হয় স্থূল
ভুলগুলো ক্রমে হয় জমা;
সাদা কালো এ জীবন, অগোছালো চলে মন
ভুল পথে শুধু উঠা নামা।

২.
তুমি আসো ফিরে যেতে
আমি আসি তোমায় ছুঁতে

পথ হারা তিনটি ছড়া

১.
হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে
লক্ষ তারার মাঝে
আমায় তুমি আর পাবে না
এই ধরাতে খুঁজে,
অধর মাঝে তপ্ত আদর
জড়িয়ে রাখা সেসব প্রহর;

দুই লাইনের ভাবনারা

১.
বুকের ভেতর চাপা কষ্ট নষ্ট করে সব
ভাবনা গুলো ছন্ন ছাড়া মৃত অনুভব !!!

২.
ভালোবাসা মানে অশ্রুর সাথে মিথ্যে আলিঙ্গন
ভালোবাসা মানে একলা শুয়ে স্মৃতি রোমন্থন !!!

গোপন প্রিয়া

গোপনেই থাকো গোপন প্রিয়া
করিবোনা ডাকা ডাকি,
প্রকাশ্যে আসিয়া গোপন হইলে
গোপনেই তবে রাখি।
করিবোনা প্রকাশ মন্দ ও ভালো
যা কিছু গিয়েছে ঘটে,

অনিশ্চয়তা

হাতে হাত রেখে গোধুলীর আলোয়
আর পা ফেলা হবেনা কখনো,
যেখানে গিয়েছে দিগন্ত মিশে কিংবা-
কাশ বনের ধারে কুশিয়ারার পারে
ডাহুকের মিছিল উড়ে যাওয়া চিল
দেখা হবে না আর দিনান্তের শেষে।

কষ্ট কাব্য

কষ্টে আছে আইজুদ্দিন অপেক্ষাতে নাজির
আমারো কিছু কষ্ট আছে বলতে আমি হাজির,
দিনে রাতে জ্বালায় কারেন্ট সন্ধ্যা হলে মশা
প্রিয়ার বাঁকা চাহনিতে কষ্টে এ বুক ঠাসা।
ওয়াসার জলে শ্যাওলা নামক কষ্ট আসে ভেসে
কষ্ট পাই সর্দি জ্বরে খুক খুক করে কেশে,

কথোপকথন

: হ্যালো...
: হ্যাঁ শুনছি।
: কি করছো ?
: কিছুনা।
: কিছু না বললে হবে ? কিছু একটা করো।
: হুম তাই ভাবছি, এবার সত্যি সত্যি কিছু একটা করতে হবে।
: কবে শুরু করবে ?
: এই যে এখন থেকে। ভাবতে শুরু করে দিলাম...

তোমায় ছুঁবো

তোমায় ছুঁবো, রাঙ্গিয়ে দেবো
অধর দুটি;
তোমার বুকে, পরম সুখে
বাঁধবো ঘাটি।

স্বপ্ন দেবো, স্বপ্ন নেবো
জলের দামে;
আমায় তবে, নাইয়ে দেবে
তোমার ঘামে ?

ছন্ন ছাড়া দুটি ছড়া

১.
যেজন দিবসে মনের হরষে
জ্বালায় মোমের বাতি,
আশু গৃহে তার দেখিবে আবার
জ্বলবে কারেন্ট বাতি।
কত যে প্রবাদ হয়েছে আবাদ
ধরেছে পঁচন তাতে,
পঁচে গলে ঢেঁর বেরিয়েছে ফের
নতুন সময়ের সাথে।

আমরা কি কুকুরের চেয়েও অধম?

পৃথিবীতে যত প্রাণীকূল আছে তার মধ্য সম্ভবত কুকুরই হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রভূ ভক্ত প্রাণী। সেই আদি কাল থেকে মানুষের সঙ্গে কুকুরের সখ্যতা এবং আজ অবদি তা বিদ্যমান। কুকুর নিয়ে প্রেম বিরহের নানান চিত্র আমরা পত্রিকার পাতায় পড়েছি। তার কয়েকটি চিত্র আমি তুলে ধরলাম।

১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারীর প্রথম দিকে লন্ডনের সংবাদ পত্রে ফলাও করে প্রকাশ করে এই ঘটনাটি। লন্ডনের বাসিন্দা রবার্ট মার্টিন পেশায় টেলিভিশন মিস্ত্রী। একটি বাড়ীতে গিয়ে তিনি টেলিভিশন মেরামত করার সময় ঐ বাড়ীর একটা

আমার জবাব

কেহ বলে মোরে গন্ড মূর্খ
কবিতার মানে কি বুঝিস ?
কেহ বলে “ব্যাটা চালিয়ে যা”
কবিতাতো তুই জোস লিখিস।
কেহ বলে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে
তুলেছি কলম লিখতে তাই,
বলছে কেহ লভিতে নারী
প্রেমের কাব্য লিখে যাই।

পা বাড়াই কেবলি না পাবার জন্যে...

তুমি আমাকে একটি গল্প শুনিয়েছিলে
আমি বোবা মুখে তোমার সে গল্প ধারণ করেছি আমার মস্তিষ্কে।
জানালায় পর্দা ছিলো না, আমার গায়ের চাদর টাঙ্গিয়ে
আলো আধাঁর তৈরী করে পিনপতন নীরবতা ছিলো ঐ ঘরে
যে ঘরের গল্প আজ আমি তোমাকে শুনাবো।
উঁহু, উঠবে না। এবার তবে শোন আমার গল্প।

প্রেম ও অপ্রেমের রম্য পকেট পদ্য-১

১.
পানির অপর নাম যদি
জীবন বলা হয়,
তোমার জন্য জীবন দেবো
সময় অসময়।

২.
আমি আজো বেকার !
আমার কাছে আছেরে ভাই

স্বপ্ন ভাঙ্গার খেলা

চোখের কোণে লেপ্টে থাকা স্বপ্ন সীমাহীন
বক্ষ শুধু দুরু দুরু কাঁপতো রাত্রী দিন,
তোমায় পেলে হারিয়ে ফেলবো শংকা ছিলো মনে
আমার বিন্দু শংকা বৃত্ত হলো তোমার আগমনে।
তোমায় পেয়ে ভুলে গেলাম তোমায় হারাবার ভয়
সেই ভুলে যাওয়া কাল হলো আজ আমার সর্বময়,

নবীনতর পোস্টসমূহ পুরাতন পোস্টসমূহ হোম

    আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

    নিজের লেখা দিয়ে নিজের মতো করে এই ব্লগটি সাজানোর চেষ্টা করেছি, আমার এই ব্লগটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তবেই আমার এই শ্রম স্বার্থক হবে। ব্লগটি পরিদর্শন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ব্লগটি আজ দেখা হয়েছে মোট

ইতিহাসের এই দিনে

Flickr Images

2014 © জবরুল আলম সুমন কর্তৃক. Blogger দ্বারা পরিচালিত.

এক ঝলকে আমি

আমার ফটো
নিজের সম্পর্কে বলার মত সঞ্চয় আমার নেই। নিজেকে স্বচ্ছ আয়নার মতই ভাবি, আমার প্রিয় বন্ধুরা যখন আমার সামনে এসে দাঁড়ায় আমি তখন তাদের প্রতিবিম্ব মাত্র। তাতেই আমার সুখ। গান শুনতে পছন্দ করি, পছন্দ করি লিখতে আর সময় সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ি অচেনা পৃথিবীটাকে চেনার জন্য।

এই ব্লগটি সন্ধান করুন


Recent Comments