কথোপকথন
: হ্যালো...
: হ্যাঁ শুনছি।
: কি করছো ?
: কিছুনা।
: কিছু না বললে হবে ? কিছু একটা করো।
: হুম তাই ভাবছি, এবার সত্যি সত্যি কিছু একটা করতে হবে।
: কবে শুরু করবে ?
: এই যে এখন থেকে। ভাবতে শুরু করে দিলাম...
: থাক, এখন আর ভাবতে হবে না। আচ্ছা কালকে তোমার কি কাজ ?
: অনেক কাজ। ম্যালা ম্যালা কাজ পড়ে আছে আমার।
: আহা ! এতো ঢং করছো কেন ?
: ঢং করছি কই ? আমাদের কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যতকে সাজাতে হবেনা। আর ত মাত্র কিছুদিন পরে দুটি সংসারের দুটি অংশ মিলে নতুন আরো একটি সংসারের জন্ম দিবে পৃথিবীর বুকে দু-বছরের মাথায় একটা বাবু আসবে...
: না না না দু বছর না তিন বছর...
: আচ্ছা তাই হবে। আমাদের আগত বাবুটার ভবিষ্যতটাও এখন থেকেই গড়া শুরু করে দিতে হবে, হাতে সময় বড্ড কম।
: ঈশ্বর আমাদের এতো কম সময় বরাদ্ধ দিয়ে পৃথিবীতে পাঠায় কেন ? একটা কচ্চপের জন্য কম করে হলেও তিনশ বছর বরাদ্ধ দেয় আর আমাদের জন্য পঞ্চাশ ষাট কিংবা সত্তর, বিধাতা কেন এমন করে ? কচ্চপের কি প্রয়োজন এতো দিন বাঁচার ?
: এই শোন...
: হ্যাঁ বলো।
: একটা নাম্বার আমাকে দেবে ?
: কার নাম্বার ?
: ঈশ্বরের...
: হা হা হা কেন ?
: ঈশ্বরের কাছ থেকে তোমার প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিতাম... অতো কঠিন প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই।
: এ্যাঁই কিসের শব্দ হচ্ছে।
: টেলিফোন সেটটা বাজছে...
: এতো রাতে তোমাকে আবার কে ফোন করলো ?
: হয়তো তোমার ঈশ্বর !!! তোমার প্রশ্নের উত্তর দিতে নিজেই ফোন করেছেন...
: ঢং করবানা একদম। আমি লাইনে আছি তুমি ক্রাডল থেকে রিসিভারটা তুলো...
জবরুল আলম সুমন
সিলেট।
২৭শে ফেব্রুয়ারী, ২০১১ খৃষ্টাব্দ।
(নাহ টেলিফোনের ক্রাডল থেকে রিসিভারটা আর তোলা হয়নি তার আগেই মুঠোফোনে মিতুর কল... ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো! নইলে ঈশ্বরের কাছ থেকে জেনে নিতাম তোমার প্রশ্নের উত্তরগুলো...)
: হ্যাঁ শুনছি।
: কি করছো ?
: কিছুনা।
: কিছু না বললে হবে ? কিছু একটা করো।
: হুম তাই ভাবছি, এবার সত্যি সত্যি কিছু একটা করতে হবে।
: কবে শুরু করবে ?
: এই যে এখন থেকে। ভাবতে শুরু করে দিলাম...
: থাক, এখন আর ভাবতে হবে না। আচ্ছা কালকে তোমার কি কাজ ?
: অনেক কাজ। ম্যালা ম্যালা কাজ পড়ে আছে আমার।
: আহা ! এতো ঢং করছো কেন ?
: ঢং করছি কই ? আমাদের কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যতকে সাজাতে হবেনা। আর ত মাত্র কিছুদিন পরে দুটি সংসারের দুটি অংশ মিলে নতুন আরো একটি সংসারের জন্ম দিবে পৃথিবীর বুকে দু-বছরের মাথায় একটা বাবু আসবে...
: না না না দু বছর না তিন বছর...
: আচ্ছা তাই হবে। আমাদের আগত বাবুটার ভবিষ্যতটাও এখন থেকেই গড়া শুরু করে দিতে হবে, হাতে সময় বড্ড কম।
: ঈশ্বর আমাদের এতো কম সময় বরাদ্ধ দিয়ে পৃথিবীতে পাঠায় কেন ? একটা কচ্চপের জন্য কম করে হলেও তিনশ বছর বরাদ্ধ দেয় আর আমাদের জন্য পঞ্চাশ ষাট কিংবা সত্তর, বিধাতা কেন এমন করে ? কচ্চপের কি প্রয়োজন এতো দিন বাঁচার ?
: এই শোন...
: হ্যাঁ বলো।
: একটা নাম্বার আমাকে দেবে ?
: কার নাম্বার ?
: ঈশ্বরের...
: হা হা হা কেন ?
: ঈশ্বরের কাছ থেকে তোমার প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিতাম... অতো কঠিন প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই।
: এ্যাঁই কিসের শব্দ হচ্ছে।
: টেলিফোন সেটটা বাজছে...
: এতো রাতে তোমাকে আবার কে ফোন করলো ?
: হয়তো তোমার ঈশ্বর !!! তোমার প্রশ্নের উত্তর দিতে নিজেই ফোন করেছেন...
: ঢং করবানা একদম। আমি লাইনে আছি তুমি ক্রাডল থেকে রিসিভারটা তুলো...
জবরুল আলম সুমন
সিলেট।
২৭শে ফেব্রুয়ারী, ২০১১ খৃষ্টাব্দ।
(নাহ টেলিফোনের ক্রাডল থেকে রিসিভারটা আর তোলা হয়নি তার আগেই মুঠোফোনে মিতুর কল... ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো! নইলে ঈশ্বরের কাছ থেকে জেনে নিতাম তোমার প্রশ্নের উত্তরগুলো...)