আমার দিদি নীলাঞ্জনা
প্রতিটা মানুষেরই একটা ব্যক্তি পরিচয় থাকে। কেউ আশাবাদী, কেউ নৈরাশ্যবাদী, কেউ বাস্তববাদী আর আমি হলাম প্রশ্নবাদী !!! জীবনের প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে নানান রকমের অপ্রথাগত বেকুবী প্রশ্নের উদয় হয় মাথার মধ্যে। কখনো কখনো আমার বেকুব প্রশ্নগুলো তার যোগ্য উত্তর পেয়ে ক্ষ্যান্ত হয়ও বটে! তেমনি ভাবে সহজাত একটা প্রশ্ন মাথার মধ্যে উষ্ঠা খাচ্ছিলো, একটা মানুষের কতটা গুন থাকতে পারে ? কিংবা কতটা গুনে গুনান্বিত হতে পারে একটা মানুষ ? এই খাপছাড়া প্রশ্নের উত্তর হাতড়িয়ে বেড়াতে বেড়াতে আচমকা পরিচয় হয়ে যায় এমন এক পরম মমতাময়ী মহীয়সী মহিরুহের সাথে। এই বিদগ্ধ মহা-মমতাময়ীর সাথে পরিচয়ের সাথে সাথে আমার ল্যাংড়া প্রশ্নটা "ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি"-র মতো হয়ে পড়লো। আমার অবৈধ প্রশ্নটাকে পালানোর সুযোগ করে দিয়ে আমি নব পরিচিতা মাতৃতুল্য দিদির নানা গুনে নিজেকে ধন্য করতে লাগলাম।
এই মহীরুহের নাম "নীলাঞ্জনা নীলা" হলেও নিজেকে সপ্তবর্ণা হিসেবে পরিচিত করতে বেশী ভালোবাসেন। "বেনীআসহকলা" রূপী আমার নীলার মধ্যে কোন কিছুরই অভাব দেখিনি। শরীরের বয়সটা ক্রমাগত উর্ধ্বমূখী হলেও মনের বয়স ঠিক একটা জায়গাতে পেরেক ঠুকে আঁটকে দিয়ে লেমেনেটিং করিয়ে নিয়েছেন। নিক্তি-বাটখারা বা গজ-ফিতা দিয়ে তার আকার আয়তন, ওজন মাপা যেতে পারে কিন্তু তার মাথার ভেতরে যে সীমাহীন জ্ঞানের ভান্ডার রয়েছে তার কি কোন পরিমান কেউ জানে বা জানা সম্ভব ? তাইতো আমার বেকুব প্রশ্নটা ত্রাহি ত্রাহি করে ভূতের মতো দৌঁড়ে পালালো! আমার নীলা'দি যেমন নাচেন তেমনি নাচান, যেমন লেখেন তেমনি লেখান (এই যে আমি এই লেখাটা তার জন্যই প্রসব হলো, প্রমান দিলাম ত ?) যেমন গাইতে পারেন তেমনি গাওয়ান, (না গেয়ে উপায় আছে, কান্নাটাও এক প্রকার গান। আমার মনে হয়, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে কান্নার সুরের তারতম্য হয়, এই কান্নাতে সংগীতায়োজন করতে পারলে সঙ্গীতে নতুন একটা ফ্লেভার আসতো!) তেমনি ভাবে আরো কত্ত কত্ত গুণের অধিকারিনী আমার এই দিদি, হাতের আঙ্গুলে গুনা অসম্ভব!
দিদির সাথে আমার প্রথম দেখায় যেভাবে মাতৃসুলভ আদরে আমাকে জড়িয়ে নিলো তা কি কেউ করেছে আগে ? সেদিন আমার চোখে যে আনন্দাশ্রু ঝরেছিলো তা দিদিকে দেখাতে দিইনি। একটা ফকির্ন্নির (অন্তরা মিতু) কাছে এক টুকরো টিস্যু চেয়ে পাইনি বলে সে অশ্রু শার্টের হাতলে মুছেছি কিন্তু কাউকে টের পেতে দিইনি। আমি কাউকেই "তুই" সম্বোধন করিনা। কিন্তু এই দিদি আমাকে কানে ধরে শিখিয়েছেন কিভাবে তুই করে বলতে হয়। তুই'য়ের তির্যক দেয়াল ভেঙ্গে দিয়েছেন বলে আরো দুই মহীয়সীকে তুই সম্বোধন করে বলতে পারি অবলীলায় বেহায়ার মতো।
দিদি আমার বড় অভিমানী। আমার উপর বিশেষ এক কারণে এখনো ক্ষেপে আছেন হয়তো! তবে আমি বিশ্বাস করি, আমার দিদি শিমুল গাছের মতো, বাইরে কাঁটা থাকলেও ভেতরটা খুব নরম। দিদির অভিমানরূপী কাঁটাগুলো শুধু ছেঁটে ফেলতে পারছিনা। যখন পারবো তখন আবার আমি তার নরম মমতায় দলিত হবো, এ বিশ্বাস আমার আছে। আমার এই মমতাময়ী দিদির আজ বর্ণীল জন্মদিন। জন্মদিনে কি দিতে হয় জানিনা, কি বলতে হয় তাও জানিনা, বড়ই নির্বোধ আমি। আমার নির্বুদ্ধিতার পরিচয় অনেক দিয়েছি আর না, এবার শুধু বলবো দিদি তুমি হাজার বছর বেঁচে থাকো আমাদেরকে স্নেহ ভালোবাসা বিলাতে। তোমার স্পর্শে আমরা যুগ যুগ ধরে ধন্য হতে চাই। দিদিরে আই লাভ্যূ।
জবরুল আলম সুমন
সিলেট।
২৯শে আগষ্ট ২০১০ খৃষ্টাব্দ।
এই মহীরুহের নাম "নীলাঞ্জনা নীলা" হলেও নিজেকে সপ্তবর্ণা হিসেবে পরিচিত করতে বেশী ভালোবাসেন। "বেনীআসহকলা" রূপী আমার নীলার মধ্যে কোন কিছুরই অভাব দেখিনি। শরীরের বয়সটা ক্রমাগত উর্ধ্বমূখী হলেও মনের বয়স ঠিক একটা জায়গাতে পেরেক ঠুকে আঁটকে দিয়ে লেমেনেটিং করিয়ে নিয়েছেন। নিক্তি-বাটখারা বা গজ-ফিতা দিয়ে তার আকার আয়তন, ওজন মাপা যেতে পারে কিন্তু তার মাথার ভেতরে যে সীমাহীন জ্ঞানের ভান্ডার রয়েছে তার কি কোন পরিমান কেউ জানে বা জানা সম্ভব ? তাইতো আমার বেকুব প্রশ্নটা ত্রাহি ত্রাহি করে ভূতের মতো দৌঁড়ে পালালো! আমার নীলা'দি যেমন নাচেন তেমনি নাচান, যেমন লেখেন তেমনি লেখান (এই যে আমি এই লেখাটা তার জন্যই প্রসব হলো, প্রমান দিলাম ত ?) যেমন গাইতে পারেন তেমনি গাওয়ান, (না গেয়ে উপায় আছে, কান্নাটাও এক প্রকার গান। আমার মনে হয়, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে কান্নার সুরের তারতম্য হয়, এই কান্নাতে সংগীতায়োজন করতে পারলে সঙ্গীতে নতুন একটা ফ্লেভার আসতো!) তেমনি ভাবে আরো কত্ত কত্ত গুণের অধিকারিনী আমার এই দিদি, হাতের আঙ্গুলে গুনা অসম্ভব!
দিদির সাথে আমার প্রথম দেখায় যেভাবে মাতৃসুলভ আদরে আমাকে জড়িয়ে নিলো তা কি কেউ করেছে আগে ? সেদিন আমার চোখে যে আনন্দাশ্রু ঝরেছিলো তা দিদিকে দেখাতে দিইনি। একটা ফকির্ন্নির (অন্তরা মিতু) কাছে এক টুকরো টিস্যু চেয়ে পাইনি বলে সে অশ্রু শার্টের হাতলে মুছেছি কিন্তু কাউকে টের পেতে দিইনি। আমি কাউকেই "তুই" সম্বোধন করিনা। কিন্তু এই দিদি আমাকে কানে ধরে শিখিয়েছেন কিভাবে তুই করে বলতে হয়। তুই'য়ের তির্যক দেয়াল ভেঙ্গে দিয়েছেন বলে আরো দুই মহীয়সীকে তুই সম্বোধন করে বলতে পারি অবলীলায় বেহায়ার মতো।
দিদি আমার বড় অভিমানী। আমার উপর বিশেষ এক কারণে এখনো ক্ষেপে আছেন হয়তো! তবে আমি বিশ্বাস করি, আমার দিদি শিমুল গাছের মতো, বাইরে কাঁটা থাকলেও ভেতরটা খুব নরম। দিদির অভিমানরূপী কাঁটাগুলো শুধু ছেঁটে ফেলতে পারছিনা। যখন পারবো তখন আবার আমি তার নরম মমতায় দলিত হবো, এ বিশ্বাস আমার আছে। আমার এই মমতাময়ী দিদির আজ বর্ণীল জন্মদিন। জন্মদিনে কি দিতে হয় জানিনা, কি বলতে হয় তাও জানিনা, বড়ই নির্বোধ আমি। আমার নির্বুদ্ধিতার পরিচয় অনেক দিয়েছি আর না, এবার শুধু বলবো দিদি তুমি হাজার বছর বেঁচে থাকো আমাদেরকে স্নেহ ভালোবাসা বিলাতে। তোমার স্পর্শে আমরা যুগ যুগ ধরে ধন্য হতে চাই। দিদিরে আই লাভ্যূ।
জবরুল আলম সুমন
সিলেট।
২৯শে আগষ্ট ২০১০ খৃষ্টাব্দ।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন