আমার পণের আড়ালে
এখনকার বাবা/মায়েরা হয়তো তাদের সন্তানকে আদর্শ লিপি পড়তে দেননা। আদর্শ লিপি চোখেও পড়েনা অনেক দিন থেকে। আমার মনে আছে স্কুলে ভর্তি হবার আগেই ঘরে বসে আমি আদর্শলিপি পড়েছিলাম। তৎকালীন সময়ে ৩ ইঞ্চি বাই ৪ ইঞ্চি সাইজের লাল রঙের আদর্শ লিপি বইয়ের মূল্য ৫০ পয়সা হলেও তার ভেতর যে কথাগুলো ছিলো তার মূল্য টাকা দিয়ে নির্ধারণ করা আদৌ সম্ভব নয়। যতটুকু মনে পড়ে মদনমোহন তর্কালংকারের "আমার পণ" কবিতাটা মুখস্ত করা ছিলো বাধ্যতামূলক।
এখনো প্রায়ই মনে পড়ে কবিতাটা। সময় এখন পাল্টে গেছে, এখন নীতি কথার মূল্যে নেই খুব একটা। মদনমোহন তর্কালংকার যদি এখন বেঁচে থাকতেন তাহলে তিনি তার কবিতাটাকে যুগপোযোগী করে লিখতেন কিনা জানিনা, তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমি এগিয়ে এলাম। আমার এই ধৃষ্টতা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন নিশ্চয়।
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
সারা দিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি।
রাত ভর যায় কেটে নেট ফেট ঘেঁটে
সকালে ভাংলে ঘুম মেজাজ খিটখিটে,
প্রভাতের ঘুম ভাঙ্গে দুপুর গড়ালে
এভাবেই প্রতিদিন যায় ঠিক চলে;
মন্দ ও ভালো কিছুই নেই প্রার্থনায়
প্রার্থনা না করেও দিন চলে যায়।
আদেশ করেন যাহা মোর গুরু জনে
আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে।
আদেশ নিষেধ আজ কেউ নাহি মানে
গুরুজনে করো নতি প্রবাদ বচনে,
সকল গুরুও আজ নেই যে সমান
সুযোগের অভাবে কেউ সাজে ভগবান;
কেউ দেয় হাত তালি নীতি কথা শুনে
পুঁথিগত নীতি কথা হাঁটে গোরস্থানে।
সুখী যেন নাহি হই আর কারো দুখে,
মিছে কথা কভু যেন নাহি আসে মুখে।
অন্যের দুঃখে আজ সুখ থাকে ভারী
কেউ দেখি সমস্বরে করে আহাজারি,
করুন চাহনী দিয়ে মুখ করে ভার
বুকের ভেতর তবে অন্য সমাচার;
সত্য বল সৎ পথে চল কবে গেছে ভুলে
সত্যবাদী তবু সে সাজে তলে তলে।
সাবধানে যেন লোভ সামলিয়ে থাকি,
কিছুতে কাহারে যেন নাহি দেই ফাঁকি।
বড় হতে চাও তুমি এই কলি কালে ?
লোভী হও যত পারো লাজ ভয় ঠেলে,
ফাঁকিবাজি ঠিক ঠিক থাকে যদি জানা
বড় হবেই তুমি হবে ষোল আনা;
এই যুগে না বাড়ালে পা বেপথে
কিছুই জুটিবেনা তোমার ঐ পাতে।
ঝগড়া না করি যেন কভু কারো সনে
সকালে উঠিয়া এই বলি মনে মনে।
ঝগড়া না করিলে কি গদি থাকে টিকে ?
টুশ টাশ ফাটাও কিছু এদিক ওদিকে,
সরকারী সন্ত্রাস আছে যার পাশে
ত্রাসে ত্রাসে দিনভর সব কিছু গ্রাসে;
সকালে উঠিয়া কি সে বলে মনে মনে ?
ভাই বোন সুখে দুঃখে থাকি এক সনে।
জবরুল আলম সুমন
সিলেট।
২২শে ডিসেম্বর ২০১১ খৃষ্টাব্দ।
এখনো প্রায়ই মনে পড়ে কবিতাটা। সময় এখন পাল্টে গেছে, এখন নীতি কথার মূল্যে নেই খুব একটা। মদনমোহন তর্কালংকার যদি এখন বেঁচে থাকতেন তাহলে তিনি তার কবিতাটাকে যুগপোযোগী করে লিখতেন কিনা জানিনা, তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমি এগিয়ে এলাম। আমার এই ধৃষ্টতা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন নিশ্চয়।
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
সারা দিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি।
রাত ভর যায় কেটে নেট ফেট ঘেঁটে
সকালে ভাংলে ঘুম মেজাজ খিটখিটে,
প্রভাতের ঘুম ভাঙ্গে দুপুর গড়ালে
এভাবেই প্রতিদিন যায় ঠিক চলে;
মন্দ ও ভালো কিছুই নেই প্রার্থনায়
প্রার্থনা না করেও দিন চলে যায়।
আদেশ করেন যাহা মোর গুরু জনে
আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে।
আদেশ নিষেধ আজ কেউ নাহি মানে
গুরুজনে করো নতি প্রবাদ বচনে,
সকল গুরুও আজ নেই যে সমান
সুযোগের অভাবে কেউ সাজে ভগবান;
কেউ দেয় হাত তালি নীতি কথা শুনে
পুঁথিগত নীতি কথা হাঁটে গোরস্থানে।
সুখী যেন নাহি হই আর কারো দুখে,
মিছে কথা কভু যেন নাহি আসে মুখে।
অন্যের দুঃখে আজ সুখ থাকে ভারী
কেউ দেখি সমস্বরে করে আহাজারি,
করুন চাহনী দিয়ে মুখ করে ভার
বুকের ভেতর তবে অন্য সমাচার;
সত্য বল সৎ পথে চল কবে গেছে ভুলে
সত্যবাদী তবু সে সাজে তলে তলে।
সাবধানে যেন লোভ সামলিয়ে থাকি,
কিছুতে কাহারে যেন নাহি দেই ফাঁকি।
বড় হতে চাও তুমি এই কলি কালে ?
লোভী হও যত পারো লাজ ভয় ঠেলে,
ফাঁকিবাজি ঠিক ঠিক থাকে যদি জানা
বড় হবেই তুমি হবে ষোল আনা;
এই যুগে না বাড়ালে পা বেপথে
কিছুই জুটিবেনা তোমার ঐ পাতে।
ঝগড়া না করি যেন কভু কারো সনে
সকালে উঠিয়া এই বলি মনে মনে।
ঝগড়া না করিলে কি গদি থাকে টিকে ?
টুশ টাশ ফাটাও কিছু এদিক ওদিকে,
সরকারী সন্ত্রাস আছে যার পাশে
ত্রাসে ত্রাসে দিনভর সব কিছু গ্রাসে;
সকালে উঠিয়া কি সে বলে মনে মনে ?
ভাই বোন সুখে দুঃখে থাকি এক সনে।
জবরুল আলম সুমন
সিলেট।
২২শে ডিসেম্বর ২০১১ খৃষ্টাব্দ।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন