পা বাড়াই কেবলি না পাবার জন্যে...
তুমি আমাকে একটি গল্প শুনিয়েছিলে
আমি বোবা মুখে তোমার সে গল্প ধারণ করেছি আমার মস্তিষ্কে।
জানালায় পর্দা ছিলো না, আমার গায়ের চাদর টাঙ্গিয়ে
আলো আধাঁর তৈরী করে পিনপতন নীরবতা ছিলো ঐ ঘরে
যে ঘরের গল্প আজ আমি তোমাকে শুনাবো।
উঁহু, উঠবে না। এবার তবে শোন আমার গল্প।
শহরের নিয়ন্ত্রিত রাস্তা ভেদ করে ও ঠিকই আমার হাত ধরেছিলো
আমার শক্ত পাঁচটা আঙ্গুলের ফাঁকে ওর নরম পাঁচটা আঙ্গুল রেখে
কি দ্রুত পায়েই না হেঁটেছিলো সেদিন পাছে কেউ দেখে ফেলে বলে।
আমার চওড়া বুকে সেদিন ও মাথা রেখেছিলো পরম আত্মবিশ্বাসে
তোমার বিষাক্ত ঘরে। যে ঘরে তুমি শুধু মাত্র লিঙ্গের পরিবর্তন ঘটিয়ে
রচনা করে শুনিয়েছিলে তোমার সৃষ্ট এক অনবদ্য এক কবিতা।
তোমার রচনায় ভুল ছিলো না, তবে তোমার রচিত চরিত্র
ভুল মানুষের বুকে মাথা রাখলেও সে রাখিনি।
আমি স্বপ্ন দেখতে না জানলেও ও আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলো
আলো আধাঁরের সেই ছোট্ট ঘরের দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে,
তখন আমি ওর কোলে মাথা রেখে ওর চোখে দেখেছিলাম স্বপ্ন।
কি দুঃসাহসিক সে স্বপ্ন !
এ স্বপ্ন নীলিরিকে ছুঁইয়ে দেবার
এ স্বপ্ন সাগরের লোনা জলে পা ভেজাবার
এ স্বপ্ন নদীর স্বচ্ছ জলে ডিঙ্গি নৌকায় চড়ে বেড়াবার
এ স্বপ্ন হাতে হাত রেখে অনন্ত পথ পাড়ি দেবার।
তুমি বিশ্বাস করতে চাইবেনা অত্তটুকুন মেয়ে এত্তো স্বপ্ন দেখাতে জানে !
শুধু স্বপ্ন দেখাতে জানেনা স্বপ্ন ভাংতেও জানে।
আজ আমিও হাত বাড়াই
ঠিক তোমার সৃষ্ট মেয়েটির মতো হারানোর জন্য,
আমিও পা বাড়াতে জানি কেবলি না পাবার জন্য।
জবরুল আলম সুমন
সিলেট।
৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০১১ ইংরেজী।
আমি বোবা মুখে তোমার সে গল্প ধারণ করেছি আমার মস্তিষ্কে।
জানালায় পর্দা ছিলো না, আমার গায়ের চাদর টাঙ্গিয়ে
আলো আধাঁর তৈরী করে পিনপতন নীরবতা ছিলো ঐ ঘরে
যে ঘরের গল্প আজ আমি তোমাকে শুনাবো।
উঁহু, উঠবে না। এবার তবে শোন আমার গল্প।
শহরের নিয়ন্ত্রিত রাস্তা ভেদ করে ও ঠিকই আমার হাত ধরেছিলো
আমার শক্ত পাঁচটা আঙ্গুলের ফাঁকে ওর নরম পাঁচটা আঙ্গুল রেখে
কি দ্রুত পায়েই না হেঁটেছিলো সেদিন পাছে কেউ দেখে ফেলে বলে।
আমার চওড়া বুকে সেদিন ও মাথা রেখেছিলো পরম আত্মবিশ্বাসে
তোমার বিষাক্ত ঘরে। যে ঘরে তুমি শুধু মাত্র লিঙ্গের পরিবর্তন ঘটিয়ে
রচনা করে শুনিয়েছিলে তোমার সৃষ্ট এক অনবদ্য এক কবিতা।
তোমার রচনায় ভুল ছিলো না, তবে তোমার রচিত চরিত্র
ভুল মানুষের বুকে মাথা রাখলেও সে রাখিনি।
আমি স্বপ্ন দেখতে না জানলেও ও আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলো
আলো আধাঁরের সেই ছোট্ট ঘরের দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে,
তখন আমি ওর কোলে মাথা রেখে ওর চোখে দেখেছিলাম স্বপ্ন।
কি দুঃসাহসিক সে স্বপ্ন !
এ স্বপ্ন নীলিরিকে ছুঁইয়ে দেবার
এ স্বপ্ন সাগরের লোনা জলে পা ভেজাবার
এ স্বপ্ন নদীর স্বচ্ছ জলে ডিঙ্গি নৌকায় চড়ে বেড়াবার
এ স্বপ্ন হাতে হাত রেখে অনন্ত পথ পাড়ি দেবার।
তুমি বিশ্বাস করতে চাইবেনা অত্তটুকুন মেয়ে এত্তো স্বপ্ন দেখাতে জানে !
শুধু স্বপ্ন দেখাতে জানেনা স্বপ্ন ভাংতেও জানে।
আজ আমিও হাত বাড়াই
ঠিক তোমার সৃষ্ট মেয়েটির মতো হারানোর জন্য,
আমিও পা বাড়াতে জানি কেবলি না পাবার জন্য।
জবরুল আলম সুমন
সিলেট।
৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০১১ ইংরেজী।