নাহি পরিচয় তবু কথা হয় উহাই যখন রটে
রটিলো যাহা ঘটিলো পরে সত্যি হইলো বটে,
সুদূরের তুমি অদূর হইয়া নিয়াছো হৃদয় টানি
আসিলেও ঝড় ভাঙ্গিবে না ঘর দিয়াছো কথা খানি।

শকটে চড়িয়া প্রকট বেগে নিকট হইলাম আরো
আমারে দেখিয়া আকুল হইলে শুনিলেনা কথা কারো,
তোমার কোলেতে ঠেকাইলে মাথা বুলাইলে তুমি হাত
সেই থেকে তুমি রহিলে সাথে দিবস কিংবা রাত।

এমনি করিয়া কত যে রজনী হাসিয়া খেলিয়া গেলো
তনু আর মনে মনোরঞ্জনে কত যে স্বপন পেলো,
হঠাৎ করিয়া হটিলে তুমি বুঝিতে দিলেনা কিছু
আমি প্রাণ পণে রাত্রি দিনে ছাড়িনি তবুও পিছু।

ছায়া পানে হেঁটে কত কিছু ঘেঁটে ফিরিলাম মম নীড়ে
পাইনি তবু তোমারে খুঁজিয়া হাজার লোকের ভিড়ে,
গোচরের তুমি গোপন হইলে বাড়াইলে নীরবতা
ক্ষনে ক্ষনে মনে জমিতে লাগিলো নানান রকম ব্যথা।

কতটা বেদনা রাখিছো পুষিয়া জানিতে সাধ জাগে
বেদনার চোটে গিয়াছো টুটিয়া নাহি আর জোড়া লাগে,
রাখিতে যেথায় আঁচল ভরিয়া বিন্দু বিন্দু ভালোবাসা
আজ সে আঁচল ভরে আঁখি জল মুখে নাই তব ভাষা।

নিলাজ হইয়া তবুও আমি চাহিনু তোমার পানে
কত রাত দিন দিয়াছি ভরিয়া তোমারে গানে গানে,
ভুলিয়াছো তুমি ভুলিয়া গিয়া স্মর নাই দিবা বিভাবরী
রজনী ধরিয়া বাহিতে বাহিতে ডুবায়েছো ভোরে তরী।

মরিয়া গিয়া জাগিলো পূনঃ শুকনো ভালোবাসা
সুখ আসিয়া বেদনা ঢাকিবে জাগিলো ক্ষীণ আশা,
জানিনা তবে আসিবে কি আর ধরিতে এই হাতে
দুঃখের তরীতে সুখের গিরিতে থাকিতে এক সাথে।

জবরুল আলম সুমন
সিলেট।
৫ই মে, ২০১১ খৃষ্টাব্দ।