নিষ্পাপ... (কন্ঠই যার কলঙ্কের ঢোল এর ৩য় পর্ব)
আমরা মানুষ বলেই ভুল করি আর মানুষ মাত্রই ভুল। বর্তমান পৃথিবীতে সম্ভবত এমন কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাবে না যে কখনো ভুল করেনি। এমনও কেউ নেই যে বুকে হাত দিয়ে নির্দ্বিধায় বলতে পারে আমি কখনো ভুল করিনি। কিন্তু আমি পারি! হ্যাঁ আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি তোমাকে কখনো ভুল করতে দেখিনি, তুমি কখনো ভুল করোনি। তুমি ভুল করতে পারোনা, ভুল কোন কিছু তোমাকে দিয়ে হয়না। আমার চোখে তুমি ছিলে ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে তাইতো তোমাকে মন খুলে এতোটা উজাড় করে ভালোবাসতে পেরেছি। তোমাকে ভালোবাসতে কখনোই কার্পন্য করিনি। অনেকেই বলে থাকেন ভালোবাসা নাকি অন্ধ! আমি প্রতিবাদ জানাই তাদের সে কথার। নিন্দা কিভাবে জানাতে হয় তা জানিনা তবুও নিন্দা শব্দটি খুব প্রচলিত বলে আমিও নিন্দা জানাই সেসব নিন্দুকদের, যারা ফর্সা আলোতে ভালোবাসার উজ্জ্বল রূপ দেখতে না পেরে ভালোবাসাকে অন্ধ বলে আখ্যায়িত করে। তোমার ভালোবাসার আলোয় আমাকে পথ দেখিয়েছে বলেই তিন'শ কিলোমিটারের পথ আমি এক রাতেই পাড়ি দিতে পেরেছি। তোমার ভালোবাসা আমার পাশে ছিলো বলেই চারপাশের বীভৎসতার মাঝেও আমি দেখেছি সুন্দর সাজানো গোছানো একটি পৃথিবী।
তোমার ভালোবাসা আমার পাশে ছিলো বলেই আমি কলম ধরতে শিখেছি। তোমার ভালোবাসা আমার পাশে আছে বলেই সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে গল্প সাজাতে পারি। তোমার ভালোবাসা আমার পাশে আছে বলেই এই সভ্যতার পৃথিবীতে আমি আজ বড়ই অসভ্য, তোমার ভালোবাসা আমার পাশে আছে বলেই আমি আজ অসভ্য সমাজে সভ্য এক। ভালোবাসা এক শক্তির নাম, যে শক্তি অপ্রতিরোধ্য। বার বার চলে গিয়েও ফিরে আসতে হয়। বেমালুম সব কিছু ভুলে গিয়েও মনে পড়ে যায়। ভালোবাসা এক পরিবর্তনের নাম। ভালোবাসা সব কিছুকে পাল্টে ফেলে চোখের পলকে। তোমাকে ভুলে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েও তোমাকে ভুলা হয়না। দূরে সরে গিয়েও দূরে থাকা হয়না বরং যতই দূরে থাকি ততই যেন কাছে চলে যাই। ভালোবাসার এই অবাধ শক্তিকে কি অন্ধ বলার কোন উপায় আছে ? তবুও আমি অন্ধ! নিন্দুকের প্রতি আর নিন্দা জানাতে ইচ্ছে হয়না প্রতিবাদের স্বরটাও ক্ষীণকায় হয়ে আসে। কারণ আমি ভাবতে চাইনা তোমার আমার ব্যবধান। যোগ্যতার মাপকাঠিতে মাপতে চাইনা আমাদের ভালোবাসা। চোখের সামনে দুলতে থাকা হাজারো প্রতিবন্ধকতাও দূরে ঠেলে দিই দেখবোনা বলে।
আমি ভালো করেই জানি যা কিছু হয় তা হয়েই যায়, যা হবার নয় তা কখনোই হয়না। এতো কিছু জেনেও আমি না জানার ভান করে থাকি কারণ আমি ভালোবাসায় অন্ধ বলে। এক মুহুর্তে সব কিছু ভেঙ্গে ফেলি আবার নতুন করে গড়ার লক্ষ্যে। এতো প্রতিবন্ধকতা আর ব্যবধান নিয়েও আমার ভাবনারা স্থির থাকেনা এক মুহুর্তের জন্য, ভাবনারা অবিরাম চলতে থাকে তোমাকে নিয়ে। আমার এই ভুল ভাবনার মধ্যে তোমার উপস্থিতি নেই তুমি দূরেই থেকে যাও। আমি ভুল করলেও তুমি ভুল করতে পারোনা কারণ তুমি ভুলের মধ্যে অবস্থান করোনা তুমি বরাবরের মতো ভুলের উর্ধ্বে থেকে যাও। তাইতো সব কিছু দিয়েও কিছু দেয়া হয়না পাছে যদি ভুল হয়ে যায়। সীমাহীন স্বপ্ন তুমি আমার চোখে বুকে এঁকে দিয়েছিলে, সেখানে কোন ভুল ছিলোনা। কিন্তু স্বপ্নটাকে বাস্তবে রূপ দিতে গেলে হয়তো ভুল হয়ে যেতে পারে তাইতো পিছিয়ে গেলে। ছোঁয়া হলোনা গোধূলীর রঙ তোমার হাতে হাত রেখে, পা বাড়ানো হলোনা অবারিত স্বপ্নের গালিচায় যদি কলঙ্কের মোড়কে বন্দী হয়ে যায় জীবনের বাকিটা সময়। কলঙ্ক লেগে থাক আমার কন্ঠে তবুও তুমি নিষ্পাপ থাকো।
আমার কিছু কথাঃ গত ক'দিন ব্যস্ততার অযুহাতে ফেসবুক থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন ছিলাম। কিন্তু যেখানে হৃদয় পোঁতা সেখানে কি ফিরে না এসে থাকা যায় ? হৃদয়ের টানে আসতেই হয়। তাইতো আবার ফিরে এলাম ব্যস্ততাকে উষ্টা মেরে হৃদয়ের টানে এখানে। এই ক'দিনে আমার অনেক (ফেসবুকের) বন্ধুই আমাকে ফোন করেছেন কেন আমি ফেসবুকে নেই। কোন অসুখ বিসুখ বা অন্য কোন সমস্যা হলো কিনা। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমার সেসব বন্ধু সহ সকল বন্ধুদের যাদের ভালোবাসা আমার কাছে সব কিছুর উর্ধ্বে, যারা আমার পাশে সব সময় থাকে প্রকৃত বন্ধু হয়ে। আজ থেকে ইনশাল্লাহ আবারো আগের মতো নিয়মিত ফেসবুকে ফেস দেখানোর চেষ্টা অব্যহত থাকবে। দুপুরের পর থেকে ভাবছিলাম ফেসবুকে আসবো আসবো তারপরও ছোট খাটো ব্যস্ততার কারণে আসা হয়নি।
বিকেলে যখন ফেসবুকে বসতে গেলাম তখন আমার কচ্চপ গতির নেটওয়ার্ক তার মিনিট আর ঘন্টার কাঁটা নিয়ে বারোটার ঘরে আটকে আছে এমন কি সেকেন্ডের কাঁটাটাও নড়তে চাইছেনা। তখন ভেবে পাচ্ছিলাম না কি করবো, হঠাৎ করেই মনে পড়ে গেলো কন্ঠই যার কলঙ্কের ঢোল নামে একটা ধারাবাহিক লেখা শুরু করেছিলাম কিন্তু মাত্র দুই পর্ব লিখে আমিও বারোটার ঘরে আটকে আছি। তাই লিখতে শুরু করে দিলাম তৃতীয় পর্ব। লিখতে গিয়ে বুঝতে পারলাম সব কিছু কেমন জানি গুলিয়ে ফেলছি কিছুই হচ্ছেনা। খুব জোর করে কয়েকটা লাইন নিয়ে এগুলাম কিন্তু এই সময়ে অন্য কোন কিছু করতেও মন চাচ্ছেনা নিশপিশ করা হাত দুটো কিবোর্ডের বাটনে ঘেঁট ঘেঁট আওয়াজ তুলে যাচ্ছে অবিরত অথচ লেখার কোন আগা মাথা বেরুচ্ছেনা। অন্যান্ন সময় চেষ্টা করি আমার লেখাটা যেন একটু ব্যতিক্রম হয় যেন সুখ পাঠ্য হয়... কিন্তু আজকের লেখাটা সুখ পাঠ্য হবেনা তা জানি কিন্তু বিরক্তির সৃষ্টি ত করতে পারবে ? একটা কিছু করতে পারলেই হলো। সবাই সুস্থ্য ও সুন্দর থাকুন, সীমাহীন শুভ কামনা সবার জন্য।
জবরুল আলম সুমন
সিলেট।
৭ই মার্চ, ২০১১ খৃষ্টাব্দ।
তোমার ভালোবাসা আমার পাশে ছিলো বলেই আমি কলম ধরতে শিখেছি। তোমার ভালোবাসা আমার পাশে আছে বলেই সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে গল্প সাজাতে পারি। তোমার ভালোবাসা আমার পাশে আছে বলেই এই সভ্যতার পৃথিবীতে আমি আজ বড়ই অসভ্য, তোমার ভালোবাসা আমার পাশে আছে বলেই আমি আজ অসভ্য সমাজে সভ্য এক। ভালোবাসা এক শক্তির নাম, যে শক্তি অপ্রতিরোধ্য। বার বার চলে গিয়েও ফিরে আসতে হয়। বেমালুম সব কিছু ভুলে গিয়েও মনে পড়ে যায়। ভালোবাসা এক পরিবর্তনের নাম। ভালোবাসা সব কিছুকে পাল্টে ফেলে চোখের পলকে। তোমাকে ভুলে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েও তোমাকে ভুলা হয়না। দূরে সরে গিয়েও দূরে থাকা হয়না বরং যতই দূরে থাকি ততই যেন কাছে চলে যাই। ভালোবাসার এই অবাধ শক্তিকে কি অন্ধ বলার কোন উপায় আছে ? তবুও আমি অন্ধ! নিন্দুকের প্রতি আর নিন্দা জানাতে ইচ্ছে হয়না প্রতিবাদের স্বরটাও ক্ষীণকায় হয়ে আসে। কারণ আমি ভাবতে চাইনা তোমার আমার ব্যবধান। যোগ্যতার মাপকাঠিতে মাপতে চাইনা আমাদের ভালোবাসা। চোখের সামনে দুলতে থাকা হাজারো প্রতিবন্ধকতাও দূরে ঠেলে দিই দেখবোনা বলে।
আমি ভালো করেই জানি যা কিছু হয় তা হয়েই যায়, যা হবার নয় তা কখনোই হয়না। এতো কিছু জেনেও আমি না জানার ভান করে থাকি কারণ আমি ভালোবাসায় অন্ধ বলে। এক মুহুর্তে সব কিছু ভেঙ্গে ফেলি আবার নতুন করে গড়ার লক্ষ্যে। এতো প্রতিবন্ধকতা আর ব্যবধান নিয়েও আমার ভাবনারা স্থির থাকেনা এক মুহুর্তের জন্য, ভাবনারা অবিরাম চলতে থাকে তোমাকে নিয়ে। আমার এই ভুল ভাবনার মধ্যে তোমার উপস্থিতি নেই তুমি দূরেই থেকে যাও। আমি ভুল করলেও তুমি ভুল করতে পারোনা কারণ তুমি ভুলের মধ্যে অবস্থান করোনা তুমি বরাবরের মতো ভুলের উর্ধ্বে থেকে যাও। তাইতো সব কিছু দিয়েও কিছু দেয়া হয়না পাছে যদি ভুল হয়ে যায়। সীমাহীন স্বপ্ন তুমি আমার চোখে বুকে এঁকে দিয়েছিলে, সেখানে কোন ভুল ছিলোনা। কিন্তু স্বপ্নটাকে বাস্তবে রূপ দিতে গেলে হয়তো ভুল হয়ে যেতে পারে তাইতো পিছিয়ে গেলে। ছোঁয়া হলোনা গোধূলীর রঙ তোমার হাতে হাত রেখে, পা বাড়ানো হলোনা অবারিত স্বপ্নের গালিচায় যদি কলঙ্কের মোড়কে বন্দী হয়ে যায় জীবনের বাকিটা সময়। কলঙ্ক লেগে থাক আমার কন্ঠে তবুও তুমি নিষ্পাপ থাকো।
আমার কিছু কথাঃ গত ক'দিন ব্যস্ততার অযুহাতে ফেসবুক থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন ছিলাম। কিন্তু যেখানে হৃদয় পোঁতা সেখানে কি ফিরে না এসে থাকা যায় ? হৃদয়ের টানে আসতেই হয়। তাইতো আবার ফিরে এলাম ব্যস্ততাকে উষ্টা মেরে হৃদয়ের টানে এখানে। এই ক'দিনে আমার অনেক (ফেসবুকের) বন্ধুই আমাকে ফোন করেছেন কেন আমি ফেসবুকে নেই। কোন অসুখ বিসুখ বা অন্য কোন সমস্যা হলো কিনা। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমার সেসব বন্ধু সহ সকল বন্ধুদের যাদের ভালোবাসা আমার কাছে সব কিছুর উর্ধ্বে, যারা আমার পাশে সব সময় থাকে প্রকৃত বন্ধু হয়ে। আজ থেকে ইনশাল্লাহ আবারো আগের মতো নিয়মিত ফেসবুকে ফেস দেখানোর চেষ্টা অব্যহত থাকবে। দুপুরের পর থেকে ভাবছিলাম ফেসবুকে আসবো আসবো তারপরও ছোট খাটো ব্যস্ততার কারণে আসা হয়নি।
বিকেলে যখন ফেসবুকে বসতে গেলাম তখন আমার কচ্চপ গতির নেটওয়ার্ক তার মিনিট আর ঘন্টার কাঁটা নিয়ে বারোটার ঘরে আটকে আছে এমন কি সেকেন্ডের কাঁটাটাও নড়তে চাইছেনা। তখন ভেবে পাচ্ছিলাম না কি করবো, হঠাৎ করেই মনে পড়ে গেলো কন্ঠই যার কলঙ্কের ঢোল নামে একটা ধারাবাহিক লেখা শুরু করেছিলাম কিন্তু মাত্র দুই পর্ব লিখে আমিও বারোটার ঘরে আটকে আছি। তাই লিখতে শুরু করে দিলাম তৃতীয় পর্ব। লিখতে গিয়ে বুঝতে পারলাম সব কিছু কেমন জানি গুলিয়ে ফেলছি কিছুই হচ্ছেনা। খুব জোর করে কয়েকটা লাইন নিয়ে এগুলাম কিন্তু এই সময়ে অন্য কোন কিছু করতেও মন চাচ্ছেনা নিশপিশ করা হাত দুটো কিবোর্ডের বাটনে ঘেঁট ঘেঁট আওয়াজ তুলে যাচ্ছে অবিরত অথচ লেখার কোন আগা মাথা বেরুচ্ছেনা। অন্যান্ন সময় চেষ্টা করি আমার লেখাটা যেন একটু ব্যতিক্রম হয় যেন সুখ পাঠ্য হয়... কিন্তু আজকের লেখাটা সুখ পাঠ্য হবেনা তা জানি কিন্তু বিরক্তির সৃষ্টি ত করতে পারবে ? একটা কিছু করতে পারলেই হলো। সবাই সুস্থ্য ও সুন্দর থাকুন, সীমাহীন শুভ কামনা সবার জন্য।
জবরুল আলম সুমন
সিলেট।
৭ই মার্চ, ২০১১ খৃষ্টাব্দ।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন