কান্না... (দ্বিতীয় পর্ব)

ঘড়িতে সকাল সাতটা বেজে কুড়ি মিনিট। কর্মজীবি মানুষের ঢল নেমেছে রাস্তায়, প্যাঁ পুঁ প্যাঁ পুঁ ভেঁপুর শব্দে কান ঝালা পালা তবুও মানুষ থেমে নেই, ছুটে চলছে জীবনকে ধারণের জন্য। এরপরও কিছু মানুষ থেকে যায় যারা ঘড়ির কাঁটাকে অগ্রাহ্য করে সারা রাত কাটিয়ে সব কিছুকে তুচ্ছ করে ঠিক এই সময়ে নাক ডেকে ঘুমোয়, আমি হচ্ছি তাদের একজন। দিনের শুরুটা কিভাবে হচ্ছে তা নিয়ে আমার কোন আগ্রহ নেই। আমি ঘুমোচ্ছি, কিন্তু তা হচ্ছেনা! অপরিচিত বিদেশী একটা নাম্বার থেকে বার বার কল আসছে আমার সেল ফোনে, ধরতে ইচ্ছে করছে না বলেই এক চোখ খুলে আবার বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু না বারবার কল আসছেই, জরুরী কল ভেবে ধরতে গেলাম কিন্তু আমার ডান হাত খুঁজে পাচ্ছিনা! আমার ডান হাতটা গেলো কোথায়? রাতে ঘুমুতে যাবার আগেই ত দুটো হাতই সাথে নিয়ে ঘুমোতে গেছি অথচ সকালে একটা হাত পাচ্ছি অন্যটা পাচ্ছিনা। কি করে তা সম্ভব? আমার কান্না পেয়ে গেলো, শব্দ করে কান্নার আগেই চোখ বেয়ে অশ্রু গড়াতে লাগলো। ইচ্ছে করছে চিৎকার করে কাঁদি, সে লক্ষ্যেই শোয়া অবস্থা থেকে ওঠে বসার চেষ্টা করলাম তখনি শরীরের নীচ থেকে ডান হাতটা বেরিয়ে এলো। গভীর ঘুমের কোন এক ফাঁকে ডান হাতটা শরীরের নীচে চাপা পড়ে যায় তারপর হাতের রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে ডান হাতটা পুরোপুরি অবশ হয়ে যাওয়ার ফলে এই দশা। আমি বাঁ হাতে চোখের কোণা দিয়ে গড়িয়ে পড়া মধ্যে গালে ঝুলে থাকা চোখের জল মুছে আমার ডান হাতটা উপরে তুলে ধরলাম ততক্ষণে ডান হাতে রক্ত চলাচল শুরু হয়ে পূর্বের অস্থায় ফিরে আসতে লাগলো। তবুও যেন আমার কান্না থামছেনা, কি ভয়টাই না পেয়েছিলাম।

কান্না শুধু ভয়, ব্যর্থতা বা পরাজয়ের বহিঃপ্রকাশই নয় বরং অনেক ক্ষেত্রে কান্নাটাই আনন্দ উল্লাস বা শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশের ভাষা হয়ে উঠে! সম্রাট আকবর বলেছিলেন "কান্না পুরুষের মানায় না" কিন্তু তার এই মহান নিষেধ বাণী মহাবীর আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট এর কানে পৌছায়নি, বড় দেরি করে তিনি কথাটা বলেছিলেন তাইতো প্রায় পুরো পৃথিবীটা জয় করে আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট কান্নার মহোৎসবে মেতে উঠেন কারণ তখন আর পৃথিবীর কোন ভূখন্ড বাকি ছিলোনা যা তিনি জয় করতে পারেন। তার এই কান্না ব্যর্থতার নয় বরং শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশের। যাহোক, আজকাল সব কিছু ছাপিয়ে কান্না এখন রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে উঠছে, ভোট ভিক্ষার জন্য কান্না বিশাল একটা অস্ত্র বটে! তাইতো সরকারী টিভিতে প্রায়শই দেখা যায় বিগত সরকারের সময়ে তৎকালীন সরকারী দল দ্বারা নির্যাতিতরা টিভি ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়ে কাঁদছে আর তার ফাঁকে উপস্থাপক তাদের নির্যাতনের বিশদ বর্ণনা দিচ্ছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল অবশ্য এই নির্যাতন ও কান্নার সত্যতা নিয়ে বেশ প্রশ্ন তুলেছে। আমি না হয় আপাতত ওইদিকে নাইবা গেলাম, রাজনৈতিক ব্যপার স্যাপার আমি এমনিতেই কম বুঝি। বোধকরি আমাদের মতো অতি সাধারণদের যত কম বুঝা যায় ততই মঙ্গল।

কান্নাকে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রূপোলী পর্দার অভিনেতা/নেত্রীরা কাঁদেন দর্শকদের মন হরণ করার জন্য আর মঞ্চে ভাষণরত জননেতা কাঁদেন সাধারণ ভোটারদের মন হরণ করার জন্য যদিও আমাদের দৈনন্দিন বিনোদনের একটি অংশজুড়েও রয়েছে কান্নার বিশেষ অবদান। ছোটবেলায় টিভি সেটের সামনে বসে অভিনেতা অভিনেত্রীদের কান্না দেখে আমারো চোখে পানি চলে আসতো। তখন সার্টের কলারে চোখ মুছে আবারো টিভির রূপোলী পর্দায় হা করে তাকিয়ে থাকতাম, কাঁদতাম হাসতাম কখনো বিস্ময়ে বোবা হয়ে রইতাম। কান্নাকে শিল্পরূপ দিয়ে এসব অভিনেতা/নেত্রীরা সহজেই কোমলমতি দর্শকদের মন জয় করে নিতেন। অবশ্য আজকাল কান্না বাণিজ্যিক ভাবেও উৎপাদিত হয়! এটাকে মিউজিক্যাল ক্রায়িং (Musical Crying) বলা যেতে পারে। বিভিন্ন সুরের কান্নার সাথে সংগীত সংযোজন করে সিডিতে ধারণ করে বাজারে ছেড়ে দেয়া হয়! আমার পরিচিত ও অপরিচিত অনেকের মোবাইলের রিং টোনেও আমি এই ধরনের কান্না শুনেছি! হয়তো আমার মতোই অনেকেই শুনেছেন। অতি সম্প্রতি বিশ্ববিখ্যাত পপস্টার ম্যাডোনাও কাঁদলেন। না তার এই কান্না তার শ্রোতাদের মন জয় করার জন্য নয়, তিনি কাঁদলেন ১৪ বছর বয়সী পাকিস্থানী কিশোরী মালালা ইউসুফজাই এর জন্য। মালালা ইউসুফজাই পাকিস্থানের তালেবান বিরোধী এক সাহসী কিশোরী। তালেবানরা পাকিস্থানের সোয়াত উপত্যকায় নারীদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিলে মালালা এর বিরোদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেন। তাই তার কন্ঠকে সারাজীবনের জন্য রোধ করে দিতে তালেবানরা স্কুল থেকে বাড়ি আসার পথে মালালার উপর গুলি চালায়। একটি গুলি তার মাথায় আরো একটি গুলি তার ঘাড়ে বিঁধে, বর্তমানে তিনি পাকিস্থানের রাওয়াল পিন্ডির সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, ডাক্তারেরা জানিয়েছেন তিনি এখনো আশংকামুক্ত নন। আশঙ্কামুক্ত হলেও জীবনের ঝুঁকি তার রয়েই গেলো, তালেবানরা এখনো তার প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বখ্যাত পপস্টার ম্যাডোনা কাঁদলেন, কাঁদালেন সেই সাথে তার 'হিউম্যান নেচার' শিরোনামের একটি গান মালালাকে উৎসর্গ করেন।

রাস্তায় বেরুলেই রিক্সা থেকে শুরু করে সি.এন.জি, ট্রাক, বাসসহ বিভিন্ন যান বাহনের গায়ে নানান রকমের বাণী দেখা যায়। এসব বাণীর ভিড়ে আমার নজর পড়েছে একটা সচেতনতা মূলক বাণীর দিকে। এই হুশিয়ারী বাণীটি হচ্ছে "একটি দূর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না"। খুবই সত্য কথা, একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনাই আপনার জীবনকে ধ্বংস করে দিতে পারে, লালিত স্বপ্নকে হনন করে দিতে পারে এক মুহুর্তে, সারা জীবন কান্না দিয়ে ভরে তুলতে পারে। সঠিক পরিসংখ্যান বের করা কঠিন যে এ পর্যন্ত সড়ক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে কত লক্ষ বা কোটি মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, কত লক্ষ মানুষ কান্নাকে সঙ্গী করে জীবনের ঘানি টেনে চলেছেন। তবে গোটা বিশ্ব জুড়ে এই অস্বাভাবিক বা অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর সংখ্যা যে পরিসংখ্যানের উর্ধ্বে তা অনেকেই মেনে নেবেন। অতি সম্প্রতি সিলেটে মাইক্রোবাস ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৮জন সদস্যসহ মোট ১৩জনের প্রাণ হানি ঘটে। মাত্র কয়েক সেকেন্ড বা মিনিটের মধ্যেই কেড়ে নিলো তরতাজা ১৩টি প্রাণ। যে পরিবারের ৮জন নিহত হলেন উল্লেখিত ঘটনায়, সেই পরিবারের বেঁচে যাওয়া সদস্যদের কান্না থামানোর উপায় কি কারো জানা আছে? কয়েক মুহুর্তের এই একটি মাত্র প্রাণঘাতী দূর্ঘটনায় রয়ে যাওয়া সদস্যদের সারাজীবনের কান্নার জোগাড় করে দিয়ে গেলো। এমনিভাবে জীবনের সবচে আনন্দঘন মূহুর্তকেও কান্নায় ভরে দিতে পারে একটি দূর্ঘটনা, যেমনটি সম্প্রতিকালে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ঘটেছে। বিয়ে করতে যাবার সময় বরযাত্রী বহনকারী একটি মাইক্রোবাস দূর্ঘটনায় পতিত হলে ঘটনাস্থলেই বরের পিতাসহ কয়েকজন বরযাত্রী নিহত হোন। আকস্মিক ভাবে ঘটে যাওয়া এই দূর্ঘটনার ক্ষত বরের পরিবার হয়তো সারাজীবন কান্নার মোড়কে ভরে বহন করবে। গত বছর সড়ক দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন নির্মাতা তারেক মাসুদসহ ৫জন নিহত হন। তাদের মৃত্যুতে সারা দেশ কেঁদে উঠে। উক্ত সড়ক দূর্ঘটনায় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদকেও সারাজীবন হয়তো কাঁদতে হবে এই ঘটনার স্মৃতি ধরে। তেমনি ভাবে হাজারো মানুষ কাঁদছে, কেঁদেই যাচ্ছে।

কান্নাই হচ্ছে মানুষের মুখে ফোটা প্রথম ভাষা, জন্মের পরপরই শিশুরা কেঁদে উঠে। কথা বলার আগ পর্যন্ত শিশুরা কান্না দিয়েই তার প্রয়োজনীয়তা প্রকাশ করে। ক্ষুধা পেয়েছে কিন্তু মাকে সেটা জানাতে হবে তাই সে কান্না শুরু করলো, জন্মদাত্রী মা বুঝে গেলেন তার সন্তানের ক্ষুধা পেয়েছে তেমনি ভাবে কান্না দিয়েই তার শরীরের অসুখ বিসুখের কথা বা অন্যান্য প্রয়োজনীয়তার কথা জানান দেয়। নবজাতক শিশুদের একমাত্র ভাষা কান্না হলেও পৃথিবীর নানান দেশের মানুষ নানান ভাষায় কথা বলে, নানান ভাবে হাসে। আমরা তাদের হাসি বা মুখের ভাষা শুনে বুঝে ফেলতে পারি কে কথা বলছে বা কে হাসছে কিন্তু পৃথিবীর প্রায় সব মানুষের প্রকৃত কান্নার সুর একই, একই কারণে না হলেও প্রায় একই ভাবেই সবাই কাঁদে। বেশির ভাগ সময়েই কান্না শুনে বুঝা যায়না যে কে কাঁদছে। প্রকৃত কান্নার ধরন একই হলেও সবাই সব সময় একই ভাবে কাঁদেনা, পরিস্থিতির উপর বিবেচনা করে কান্নার সুরে পরিবর্তন বেশ লক্ষণীয়। কেউ উচ্চস্বরে কাঁদেন, কেউ নিম্ন স্বরে কাঁদেন, কেউ ফুঁপিয়ে কাঁদেন, কেউ মুখ চেপে কাঁদেন, কেউ কেঁপে কাঁদেন, কেউ হেঁটে হেঁটে কাঁদেন, কেউ বসে বসে কাঁদেন, কেউ শুয়ে শুয়ে কাঁদেন, কেউ মুখ ঢেকে কাঁদেন, কেউ চোখ ঢেকে কাঁদেন, কেউ প্রকাশ্যে কাঁদেন, কেউ আড়ালে কাঁদেন তেমনি ভাবে সবাই একই কারণে কাঁদেন না। কেউ গরমে কাঁদে, কেউ শরমে কাঁদে, কেউ ঘৃণায় কাঁদে, কেউ না পাওয়ায় কাঁদে, কেউ বেশি পাওয়ায় কাঁদে, কেউ অসুখে কাঁদে, কেউ অতিসুখে কাঁদে, কেউ প্রিয়জনের আঘাতে কাঁদে, কেউ ব্যঘাতে কাঁদে। কান্না থেমে নেই, মানুষ কেঁদেই চলেছে কারণে অকারণে কিংবা নানান কারণে। কান্নাই যে মানুষের আদি ভাষা!

সাম্প্রতিক সময়ে (২৯ সেপ্টম্বর রাতে) কক্সবাজারের রামুতে ঘটে যাওয়া ঘটনায় বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বের মানবতা কেঁদে উঠে। তথা কথিত উগ্র ইসলামপন্থীরা ইসলাম ধর্ম অবমাননার প্রতিশোধের নেশায় মত্ত হয়ে সংখ্যালঘু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর অবর্ণনীয় ও বর্বরোচিত হামলা চালায়। রাতভর এই হামলায় ৭টি বৌদ্ধ মন্দিরসহ অন্তত ৩০টি বাড়ি ঘর ও দোকান পাট পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়া। একই ঘটনার জের ধরে প্রশাসনের নিরব ভূমিকার কারণে পরদিন আবারো উখিয়া, টেকনাফ ও চট্টগ্রামের পটিয়ায় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালানো হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন এই ঘটনা কত সহস্র মানুষকে কান্নায় ভাসিয়েছে তা অনেকেই দেখেছেন। ঘর বাড়ি হারিয়ে দিশেহারা মানুষের কান্নায় আকাশ পাতাল প্রকম্পিত হয়েছে। একজন ছলিমুদ্দিন যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে কলিমুদ্দিনকে শাস্তি পেতে হবে কেন? উত্তম বড়ুয়া নামক এক ব্যক্তি যদি অধমের মতো ইসলাম ধর্মকে অপমানিত করে ইসলাম অনুসারী তথা মুসলিমদের অন্তরে আঘাত করে থাকে তাহলে তাকেই শাস্তি দেয়া হোক দেশীয় আইন অনুসারে কিন্তু তার কৃতকর্মের মাশুল কেন অন্যদের গুনতে হবে? একজন গৃহহীন মানুষের কান্না কেবল মাত্র অন্য আরো একজন গৃহহীন মানুষ প্রকৃতভাবে অনুধাবন করতে পারে, যারা একটি কুড়েঘরে বাস করে তাদের বুকেও যথার্থ ভাবে আঘাত হানতে পারেনা এই কান্না আর যারা দালান কোটায় বাস করে তিন পাখাওয়ালা ফ্যানের বা ঠান্ডা এসির বাতাস যারা খায় তারা ত নয়ই। ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি, আর এই শান্তিকে যারা অশান্তিতে রূপায়িত করে তাদেরকে কঠোর শাস্তির আয়তায় আনা উচিত, তারাই ইসলামকে কলংকিত করছে, তারাই ইসলামকে অপমানিত করছে বিশ্বের দরবারে। ইসলাম মনবাতার ধর্ম, শান্তির ধর্ম, এবং সর্ব শ্রেষ্ঠ ধর্ম বলেই স্বীকৃত শত সহস্র বছর থেকে। অথচ কিছু নামধারী মুসলিমদের কারণে ইসলাম ধর্ম আজ কলুষিত হতে চলেছে, এদেরকে চিহ্নিত করে প্রতিহত করতে হবে। বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে বা দোয়া মাহফিলে আমরা এই পৃথিবীর মহান সৃষ্টি কর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কেঁদে কেটে চোখের জল ফেলি, ঠিক তেমনি ভাবে যেন আমরা কেঁদে উঠি অন্যের একটুকরো দুঃখে। আমাদেরকে ভুলে গেলে চলবে না কান্নাই আমাদের আদি ভাষা, আমাদের নরম মনের ভাষা, যারা কাঁদে তাদের অন্তর নরম থাকে। আমাদের পাথর মনকে নরম করতে আমরা কাঁদতে চাই, কাঁদতে কাঁদতে বিশ্ব মানবতাকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে নিয়ে যেতে চাই...

জবরুল আলম সুমন
সিলেট।
১৩ই অক্টোবর ২০১২ খৃষ্টাব্দ।

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পোস্ট পুরাতন পোস্ট হোম

    আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

    নিজের লেখা দিয়ে নিজের মতো করে এই ব্লগটি সাজানোর চেষ্টা করেছি, আমার এই ব্লগটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তবেই আমার এই শ্রম স্বার্থক হবে। ব্লগটি পরিদর্শন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ব্লগটি আজ দেখা হয়েছে মোট

ইতিহাসের এই দিনে

Flickr Images

2014 © জবরুল আলম সুমন কর্তৃক. Blogger দ্বারা পরিচালিত.

এক ঝলকে আমি

আমার ফটো
নিজের সম্পর্কে বলার মত সঞ্চয় আমার নেই। নিজেকে স্বচ্ছ আয়নার মতই ভাবি, আমার প্রিয় বন্ধুরা যখন আমার সামনে এসে দাঁড়ায় আমি তখন তাদের প্রতিবিম্ব মাত্র। তাতেই আমার সুখ। গান শুনতে পছন্দ করি, পছন্দ করি লিখতে আর সময় সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ি অচেনা পৃথিবীটাকে চেনার জন্য।

এই ব্লগটি সন্ধান করুন


Recent Comments