শুধু শাস্তি চাইনা, এমন কিছু দৃষ্টান্ত চাই...
বিচার কার্যের শেষে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতেই দেশ ও জাতিভেদে নানান রকম শাস্তির বিধান রয়েছে। যে কর্মটি আমাদের দেশে অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য হয়তো অঞ্চলভেদে উক্ত কর্মটি অন্য কোন দেশে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। তবে একটি বিষয়ে সবাই সহমত পোষণ করবেন বলে আমার ধারণা, কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠির দ্বারা কোন মানুষের জান-মালের ক্ষতি সাধিত হলে ঐ ব্যক্তি বা গোষ্ঠিকে সবদেশেই নিঃসন্দেহে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তাঁর বা তাদের কৃত অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে যথার্থ শাস্তিও দেয়া হয়ে থাকে। আইন প্রণেতারা অপরাধ বিবেচনা করে বিভিন্ন শাস্তি প্রণয়ন করেলেও দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য বিচারকরা বিশেষ কুখ্যাত অপরাধীর জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির রায় দিয়ে থাকেন। একজনের শাস্তির দ্বারা যদি দশজন সতর্ক হয়ে অপরাধ থেকে নিজেদের বিরত রাখে তবে সেই শাস্তিটা শাস্তির মতোই হওয়া উচিত। এখন আমি নিম্নে কিছু দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির তথ্য তুলে ধরছি।
* ১৯৭২ সালে স্পেনের উচ্চ আদালত “গ্যাব্রিয়েল গ্রান্ডোস” নামের এক অপরাধীকে ৩৮হাজার ৪শ ৯১ বছরের কারাদন্ডাদেশ দান করেন। গ্যাব্রিয়েল ছিলেন একজন ডাক পিওন। বাড়ি বাড়ি ঘুরে চিঠি বিলি করাই তার কাজ। কিন্তু বর্ণিত সময়ে তিনি ৪২হাজার ৭শ’ ৮৮টি চিঠি বিলি না করে গোছা বেধে গোপন স্থানে ফেলে দিয়ে খাটুনি বাঁচিয়ে ছিলেন।
* ১৯৭৭ সালে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে “তিনাই চানফু” নামের ২৭ বছর বয়স্ক এক গাড়ী চালক একজন পথচারীকে ধাক্কা দিয়ে আহত করে। আহত হওয়ার পর চালক ঐ আহত ব্যক্তিটিকে শহরের বাহিরে একটি কুয়ায় নিক্ষেপ করে হত্যা করে। আদালত সেই বিচারের রায়ে তিনাই চানফুকে ৫০ বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দেয়।
* ১৯৭৮ সালের জুলাই মাসে অন্য আরো একটি মামলার রায়ে ১৭ বছরের এক থাই যুবককে থাইলেন্ডের সামরিক আদালত ৩৩৬ বছর ৮ মাসের কারাদন্ড দেয়। ডাকাতি সহ ছয় ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে অন্য এক আদালত তাকে মৃত্যুদন্ড দিলেও বয়স বিবেচনা করে মৃত্যুদন্ড মওকুফ করে শুধু কারাদন্ডের নির্দেশ প্রদান করে।
* ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরের একটি মামলার রায়। সেটিও ছিলো থাইল্যান্ডের একটি আদালত থেকে ঘোষিত। কুখ্যাত ব্যবিচারী ডাকাত “সম্বাত পত্তনা” ধর্ষণ ও ছিনতাইয়ের কারনে সর্বমোট ১৯টি মামলায় ৩৩২ বছর ৩ মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত হয়।
* ১৯৭৮ সালের জুন মাসের ঘটনা। “রেনাতো ভালানজাঙ্ক” নামের কুখ্যাত ব্যক্তিটি ইতালীর জনগণের এক নম্বর শত্রু বলে বিবেচিত। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ৭টি মামলায় ৮১ বছরের জেল দেয় ইতালীয় আদালত। অস্ত্র রাখা, হত্যা, অপহরণের আরোও কিছু মামলা তার বিরুদ্ধে ঝুলছিলো। হয়তো ৮১ বছরের সাথে আরোও ১০/২০ বছর যোগ হয়ে থাকবে।
* ১৯৭৮ সালের জুন অথবা জুলাইয়ে ফ্রান্সের রকফোর্ডের “সায়মন নেলসন” নামের এক ব্যক্তি তার ছয় সন্তানকে হত্যা করে। প্রতিটি হত্যা কান্ডের জন্য ১’শ বছর করে তাকে মোট ৬শ’ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। নেলসন তার স্ত্রীর উপর রাগ করে তার নিজ সন্তানদের হত্যা করে। বিচারক তার রায়ে মন্তব্য করেন যে “এ নৃশংস হত্যা কান্ডের জন্য যে শাস্তিই হোক তার তা অপর্যাপ্ত বলে বিবেচিত হবে”।
* ১৯৮৫ সালের মার্চ মাসে ম্যানিলার একটি ঘটনা। ম্যানিলার বুলাকান প্রদেশের একটি আদালত এক লোককে ১২ বছরের একটি মেয়েকে ৪৫ বার ধর্ষণ করার দায়ে ৬শ’ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। মালোশ শহরের উক্ত আদালত জানান, “মিগুয়েল কনসেপশন” নামের উক্ত ব্যক্তি মেয়েটিকে ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তিন মাসে ৪৫ বার ধর্ষণ করে। তার বিরুদ্ধে মোট ৪৫ বার ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। বিচারক মিনুয়েল ইউসুন অভিযুক্ত কনসেপশনের প্রতিবার ধর্ষণের খেসারত হিসেবে মেয়েটিকে ১২ হাজার ডলার প্রদানেরও নির্দেশ দেন।
* ফিলিপাইনের একটি সরকারী ইন্সিওরেন্স এজেন্সি থেকে ৬৭ হাজার ৫৮২ পেসো আত্মসাতের দায়ে ৪০ বছর বয়স্কা একজন মহিলাকে ৮২৮ বছরের জেল দেয়া হয়। এ খবর বেরিয়েছে ম্যানিলার পত্র-পত্রিকায়। “আয়োরা ক্যারোনাম” নামের এই মহিলাকে তার বিরুদ্ধে আনীত ১৩৮টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত এই রায় প্রদান করেন সেই সাথে ৮৫ হাজার পেসো জরিমানা করা হয়।
এবার আমাদের দৃষ্টি নিবন্ধন করি আমাদের এই ছোট্ট দেশটাতে। গ্যাব্রিয়েল গ্রান্ডোস, তিনাই চানফু, সম্বাত পত্তনা, রেনাতো ভালানজাঙ্ক, সায়মন নেলসন, মিগুয়েল কনসেপশনের মতো অপরাধীরা কি আমাদের দেশে নেই ? আমার ধারনা তাদের চেয়েও ভয়ঙ্কর অপরাধী আমাদের চোখের সামনে হরহামেশা ঘোরে বেড়ায়। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিতো দূরের ব্যপার আমারা তাদেরকে ধরে বিধান মোতাবেক শাস্তিটুকুনও দিতে পারিনা। একটি হত্যাকান্ডের জন্য যদি একজন তিনাই চানফুর ৫০ বছরের কারাদন্ড হয় তাহলে একজন মানুষকে হত্যার পর পচিশ টুকরো করলে সেই হত্যাকারীর কত বছরের কারাদন্ড হতে পারে কিংবা হত্যা করে বাক্স বন্দী করে জনারণ্যে ফেলে দিলে ঐ হত্যাকারীর কত বছরের শাস্তি আমরা কামনা করতে পারি ? ধর্ষণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজন সম্বাত পত্তনার যদি ৩৩২ বছর ৩ মাসের কারাদন্ড হয় তাহলে ধর্ষণে সেঞ্চুরী হাঁকালে সেই ধর্ষণকারীর কত বছরের কারাদন্ড আমরা ভাবতে পারি ? মাত্র ৬ জনকে হত্যার দায়ে যদি একজন সায়মন নেলসনের ৬’শ বছরে কারাদন্ড হতে পারে তাহলে প্রেমের প্রতিশোধ নিতে ১০১ জনকে হত্যার লক্ষ্য নিয়ে দিনের পর দিন হত্যা করে যাওয়া একজন হত্যাকারীর কত বছরের শাস্তি হওয়া উচিত ? মাত্র ৪২ হাজার ৭’শ ৮৮টি চিঠি বিলি না করে গোপন স্থানে ফেলে দেবার অপরাধে যদি একজন গ্যাব্রিয়েল গ্রান্ডোসের ৩৮হাজার ৪শ ৯১ বছরের কারাদন্ড হয় তবে একটি দেশের পুরো ডাক বিভাগকেই ধ্বংশের মুখে পতিত করার অপরাধীদের কত বছরের শাস্তি হওয়া দরকার ? একটি সরকারী ইন্সিওরেন্স এজেন্সি থেকে মাত্র ৬৭ হাজার ৫৮২ পেসো আত্মসাতের দায়ে যদি একজন আয়োরা ক্যারোনামের ৮২৮ বছরের জেল দেয়া হয় তাহলে এন,জি,ও প্রতিষ্টানের নাম টাঙ্গিয়ে বেকার জনগোষ্টিকে কর্মসংস্থানের লোভ দেখিয়ে সেই বেকার জনগোষ্টির কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে যাওয়া অপরাধীদের কি শাস্তি আমরা কল্পনা করতে পারি ?
যুগে যুগে বিধান কর্তারা সমাজের শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য নানা নিয়ম করে গেছেন। যারাই নিয়মের বৃত্ত থেকে বের হয়েছে তাদেরকে শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে অন্যদের হুশিয়ার করা হয়েছে। আমরা আজ শুধু শাস্তি দেখতে চাইনা সেই সাথে দৃষ্টান্তও দেখতে চাই। যাতে গুরুদন্ডের ভয়ে অপরাধ করাতো দূরের কথা অপরাধের চিন্তাও যেন কেউ করতে না পারে।
জবরুল আলম সুমন
সিলেট।
০৫ই মে, ২০১০ ইংরেজী।
* ১৯৭২ সালে স্পেনের উচ্চ আদালত “গ্যাব্রিয়েল গ্রান্ডোস” নামের এক অপরাধীকে ৩৮হাজার ৪শ ৯১ বছরের কারাদন্ডাদেশ দান করেন। গ্যাব্রিয়েল ছিলেন একজন ডাক পিওন। বাড়ি বাড়ি ঘুরে চিঠি বিলি করাই তার কাজ। কিন্তু বর্ণিত সময়ে তিনি ৪২হাজার ৭শ’ ৮৮টি চিঠি বিলি না করে গোছা বেধে গোপন স্থানে ফেলে দিয়ে খাটুনি বাঁচিয়ে ছিলেন।
* ১৯৭৭ সালে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে “তিনাই চানফু” নামের ২৭ বছর বয়স্ক এক গাড়ী চালক একজন পথচারীকে ধাক্কা দিয়ে আহত করে। আহত হওয়ার পর চালক ঐ আহত ব্যক্তিটিকে শহরের বাহিরে একটি কুয়ায় নিক্ষেপ করে হত্যা করে। আদালত সেই বিচারের রায়ে তিনাই চানফুকে ৫০ বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দেয়।
* ১৯৭৮ সালের জুলাই মাসে অন্য আরো একটি মামলার রায়ে ১৭ বছরের এক থাই যুবককে থাইলেন্ডের সামরিক আদালত ৩৩৬ বছর ৮ মাসের কারাদন্ড দেয়। ডাকাতি সহ ছয় ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে অন্য এক আদালত তাকে মৃত্যুদন্ড দিলেও বয়স বিবেচনা করে মৃত্যুদন্ড মওকুফ করে শুধু কারাদন্ডের নির্দেশ প্রদান করে।
* ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরের একটি মামলার রায়। সেটিও ছিলো থাইল্যান্ডের একটি আদালত থেকে ঘোষিত। কুখ্যাত ব্যবিচারী ডাকাত “সম্বাত পত্তনা” ধর্ষণ ও ছিনতাইয়ের কারনে সর্বমোট ১৯টি মামলায় ৩৩২ বছর ৩ মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত হয়।
* ১৯৭৮ সালের জুন মাসের ঘটনা। “রেনাতো ভালানজাঙ্ক” নামের কুখ্যাত ব্যক্তিটি ইতালীর জনগণের এক নম্বর শত্রু বলে বিবেচিত। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ৭টি মামলায় ৮১ বছরের জেল দেয় ইতালীয় আদালত। অস্ত্র রাখা, হত্যা, অপহরণের আরোও কিছু মামলা তার বিরুদ্ধে ঝুলছিলো। হয়তো ৮১ বছরের সাথে আরোও ১০/২০ বছর যোগ হয়ে থাকবে।
* ১৯৭৮ সালের জুন অথবা জুলাইয়ে ফ্রান্সের রকফোর্ডের “সায়মন নেলসন” নামের এক ব্যক্তি তার ছয় সন্তানকে হত্যা করে। প্রতিটি হত্যা কান্ডের জন্য ১’শ বছর করে তাকে মোট ৬শ’ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। নেলসন তার স্ত্রীর উপর রাগ করে তার নিজ সন্তানদের হত্যা করে। বিচারক তার রায়ে মন্তব্য করেন যে “এ নৃশংস হত্যা কান্ডের জন্য যে শাস্তিই হোক তার তা অপর্যাপ্ত বলে বিবেচিত হবে”।
* ১৯৮৫ সালের মার্চ মাসে ম্যানিলার একটি ঘটনা। ম্যানিলার বুলাকান প্রদেশের একটি আদালত এক লোককে ১২ বছরের একটি মেয়েকে ৪৫ বার ধর্ষণ করার দায়ে ৬শ’ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। মালোশ শহরের উক্ত আদালত জানান, “মিগুয়েল কনসেপশন” নামের উক্ত ব্যক্তি মেয়েটিকে ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তিন মাসে ৪৫ বার ধর্ষণ করে। তার বিরুদ্ধে মোট ৪৫ বার ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। বিচারক মিনুয়েল ইউসুন অভিযুক্ত কনসেপশনের প্রতিবার ধর্ষণের খেসারত হিসেবে মেয়েটিকে ১২ হাজার ডলার প্রদানেরও নির্দেশ দেন।
* ফিলিপাইনের একটি সরকারী ইন্সিওরেন্স এজেন্সি থেকে ৬৭ হাজার ৫৮২ পেসো আত্মসাতের দায়ে ৪০ বছর বয়স্কা একজন মহিলাকে ৮২৮ বছরের জেল দেয়া হয়। এ খবর বেরিয়েছে ম্যানিলার পত্র-পত্রিকায়। “আয়োরা ক্যারোনাম” নামের এই মহিলাকে তার বিরুদ্ধে আনীত ১৩৮টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত এই রায় প্রদান করেন সেই সাথে ৮৫ হাজার পেসো জরিমানা করা হয়।
এবার আমাদের দৃষ্টি নিবন্ধন করি আমাদের এই ছোট্ট দেশটাতে। গ্যাব্রিয়েল গ্রান্ডোস, তিনাই চানফু, সম্বাত পত্তনা, রেনাতো ভালানজাঙ্ক, সায়মন নেলসন, মিগুয়েল কনসেপশনের মতো অপরাধীরা কি আমাদের দেশে নেই ? আমার ধারনা তাদের চেয়েও ভয়ঙ্কর অপরাধী আমাদের চোখের সামনে হরহামেশা ঘোরে বেড়ায়। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিতো দূরের ব্যপার আমারা তাদেরকে ধরে বিধান মোতাবেক শাস্তিটুকুনও দিতে পারিনা। একটি হত্যাকান্ডের জন্য যদি একজন তিনাই চানফুর ৫০ বছরের কারাদন্ড হয় তাহলে একজন মানুষকে হত্যার পর পচিশ টুকরো করলে সেই হত্যাকারীর কত বছরের কারাদন্ড হতে পারে কিংবা হত্যা করে বাক্স বন্দী করে জনারণ্যে ফেলে দিলে ঐ হত্যাকারীর কত বছরের শাস্তি আমরা কামনা করতে পারি ? ধর্ষণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজন সম্বাত পত্তনার যদি ৩৩২ বছর ৩ মাসের কারাদন্ড হয় তাহলে ধর্ষণে সেঞ্চুরী হাঁকালে সেই ধর্ষণকারীর কত বছরের কারাদন্ড আমরা ভাবতে পারি ? মাত্র ৬ জনকে হত্যার দায়ে যদি একজন সায়মন নেলসনের ৬’শ বছরে কারাদন্ড হতে পারে তাহলে প্রেমের প্রতিশোধ নিতে ১০১ জনকে হত্যার লক্ষ্য নিয়ে দিনের পর দিন হত্যা করে যাওয়া একজন হত্যাকারীর কত বছরের শাস্তি হওয়া উচিত ? মাত্র ৪২ হাজার ৭’শ ৮৮টি চিঠি বিলি না করে গোপন স্থানে ফেলে দেবার অপরাধে যদি একজন গ্যাব্রিয়েল গ্রান্ডোসের ৩৮হাজার ৪শ ৯১ বছরের কারাদন্ড হয় তবে একটি দেশের পুরো ডাক বিভাগকেই ধ্বংশের মুখে পতিত করার অপরাধীদের কত বছরের শাস্তি হওয়া দরকার ? একটি সরকারী ইন্সিওরেন্স এজেন্সি থেকে মাত্র ৬৭ হাজার ৫৮২ পেসো আত্মসাতের দায়ে যদি একজন আয়োরা ক্যারোনামের ৮২৮ বছরের জেল দেয়া হয় তাহলে এন,জি,ও প্রতিষ্টানের নাম টাঙ্গিয়ে বেকার জনগোষ্টিকে কর্মসংস্থানের লোভ দেখিয়ে সেই বেকার জনগোষ্টির কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে যাওয়া অপরাধীদের কি শাস্তি আমরা কল্পনা করতে পারি ?
যুগে যুগে বিধান কর্তারা সমাজের শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য নানা নিয়ম করে গেছেন। যারাই নিয়মের বৃত্ত থেকে বের হয়েছে তাদেরকে শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে অন্যদের হুশিয়ার করা হয়েছে। আমরা আজ শুধু শাস্তি দেখতে চাইনা সেই সাথে দৃষ্টান্তও দেখতে চাই। যাতে গুরুদন্ডের ভয়ে অপরাধ করাতো দূরের কথা অপরাধের চিন্তাও যেন কেউ করতে না পারে।
জবরুল আলম সুমন
সিলেট।
০৫ই মে, ২০১০ ইংরেজী।
0 মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন