হারিয়ে যাওয়ার গান

হৃদয় পুড়ে ছাই করেছো
তাই ভেবেছো, ফুরিয়ে গেছি?
কাঁদা জলে পা ফেলেছি
আটকে গেছি! আটকে গেছি?
গোলাপ ফুলে কাঁটা ছিলো কীটও ছিলো
নিঃশ্বাসে তার বিষও ছিলো, শেষ কি হলো?

স্বপ্নের ঘানি

আমায় তুমি খুন করেছো
গুম করেছো, ঘুম কেড়েছো
স্বপ্ন দেখার সাধ কেড়েছো
মাঝ পথে দু-হাত ছেড়েছো
রক্ত মাখা হৃদয় খানি ইচ্ছে করেই-
আচ্ছা মতো হ্যাঁচড়া টানে বের করেছো!
তবু, ছ্যাঁচড়া আমি তোমার পানে তাকিয়ে তাকি
স্মৃতি মাখা অম্ল মধুর দিনগুলোর সব আগলেই রাখি।

রঙ তামাশার পিচ্চি পদ্য - ৩

১.
কেউ দিয়ে যায় আছাড়
কেউ ফেলে যায় গুড়িয়ে,
লক্ষ্যে পৌছার আশায় তবু
উঠবোই আবার দাঁড়িয়ে...

রঙ তামাশার পিচ্চি পদ্য - ২

১.
বিবেকের ঘরে তালা দিসি
কান্দো এবার বইয়া,
হুনুম না আর কিছুই আমি
যতই যাও কইয়া!

রঙ তামাশার পিচ্চি পদ্য - ১

১.
সে-ই জানেরে সে-ই জানে
মন পুড়ে যায় যার,
বুকের ভেতর আর কিছু নাই
শুধুই হাহাকার।

ভয়

রাত আড়াই'টা কি তিনটা বাজে। চারদিকে নিরব নিস্তব্ধতা তারপরও এই নিরবতার ফাঁক ফোঁকর গলে হঠাৎ করেই শাঁই শাঁই করে দ্রুত বেগেই ছুটে যাচ্ছে দু একটা গাড়ি, মাঝে মাঝে করুন সুরে দু-একটা কুকুরের কান্নার আওয়াজ দূর থেকে ভেসে আসছে কিন্তু তা কানে লাগেনা খুব একটা। শহুরে শেয়ালগুলোও কখনো সখনো দল বেঁধে জানিয়ে দিচ্ছে তারাও ঘুমিয়ে নেই। অমাবস্যা না হলেও গাঢ় অন্ধকারের শীতের রাত, ছিটে ফোঁটা বাতাস নেই ঘরে কিংবা বাইরে। রাস্তায় সোডিয়ামের বাতিগুলো স্থির হয়ে জ্বলে আছে, নিয়ন বাতি গুলোও যে যার মতো করে নির্দেশানুসারে জ্বলছে নিভছে। ঘরের সবকটি দরজা-জানালা লাগিয়ে খুব মন দিয়ে ফেসবুকে এক বা একাধিক বন্ধুর সাথে চ্যাট করছেন কিংবা সিডি প্লেয়ারে হাল্কা মিউজিকে গান শুনতে শুনতে তৈরী হচ্ছেন ঘুমোতে যাবার জন্য

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, বিজয় ও আমাদের প্রজন্ম ভাবনা...

প্রতিটা স্বাধীন রাষ্ট্রের একটা নিজস্ব সমৃদ্ধশালী ইতিহাস আছে ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের এই স্বাধীন রাষ্ট্রেরও আছে সমৃদ্ধশালী ইতিহাস। যে ইতিহাসের সূচনা হয়েছিলো মহান ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে আর তা নানান পথ পাড়ি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে পূর্ণতা পেয়েছিলো কিন্তু আমরা বা আমাদের প্রজন্ম নিজের চোখে মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। আমরা মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ট হয়েই একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। আমাদের স্বীয় চোখে অদেখা ছিলো সাধারণ বাঙ্গালীর উপর পাকিস্থানী শাসক গোষ্ঠির দমন পীড়ন শোষণ নির্যাতন অতঃপর ঐক্যবদ্ধ মুক্তিকামী বাঙ্গালীর বলিষ্ঠ প্রতিবাদ আর জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া, ফলাফলে প্রিয় মাতৃভূমিকে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা করা। আমরা মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি বিকৃত গ্রন্থকীট গিলে গিলে আর বায়োজ্যেষ্ঠদের চোখে।

স্বাধীনতার গান

তখন ক্লাস সিক্স অথবা সেভেনে পড়ি। শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, বাংলা নববর্ষ, পহেলা ফাল্গুনসহ নানান রকম উৎসব এলেই আমাদের স্কুলে বিভিন্ন জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে তা যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হতো, এখনো হয়। পাঁচ সাত দিন আগে থেকেই একটা উৎসব উৎসব ভাব থাকতো সবার মধ্য। প্রিয় স্যার তপন কুমার দাস (বর্তমানে বাংলাদেশ বেতারে কর্মরত) সকল আয়োজনের কান্ডারী ছিলেন। কারা কারা পারফর্ম করবে, অনুষ্ঠানসূচীতে কি কি থাকবে তিনি তা নির্ধারণ করে দিতেন। তিনি নিজেও গাইতেন, বাজাতেন কখনো উপস্থাপনার দায়িত্বেও থাকতেন।

পুরাতন পোস্টসমূহ

    আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

    নিজের লেখা দিয়ে নিজের মতো করে এই ব্লগটি সাজানোর চেষ্টা করেছি, আমার এই ব্লগটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তবেই আমার এই শ্রম স্বার্থক হবে। ব্লগটি পরিদর্শন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

ব্লগটি আজ দেখা হয়েছে মোট

ইতিহাসের এই দিনে

Flickr Images

2014 © জবরুল আলম সুমন কর্তৃক. Blogger দ্বারা পরিচালিত.

এক ঝলকে আমি

আমার ফটো
নিজের সম্পর্কে বলার মত সঞ্চয় আমার নেই। নিজেকে স্বচ্ছ আয়নার মতই ভাবি, আমার প্রিয় বন্ধুরা যখন আমার সামনে এসে দাঁড়ায় আমি তখন তাদের প্রতিবিম্ব মাত্র। তাতেই আমার সুখ। গান শুনতে পছন্দ করি, পছন্দ করি লিখতে আর সময় সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ি অচেনা পৃথিবীটাকে চেনার জন্য।

এই ব্লগটি সন্ধান করুন


Recent Comments