বৈরীতা...
পুরুষ হচ্ছে ভাসমান নৌকা আর নারী হলো সেই নৌকার মাঝি। শান্ত নদীতে মাঝি যেমন ইচ্ছে মত নৌকা নিয়ে চলতে পারে তেমনি একজন নারী ভালোবাসার পরশে একজন পুরুষকে ইচ্ছে মত চালাতে পারে। আসলে ভালোবাসা হলো Spiritual Power বা অলৌকিক শক্তি। ভালোবাসা একজন অতি বোকাকেও বানাতে পারে অতি চালাক আবার অতি চালাককে ফেলতে পারে নির্বোধের তালিকায়, তেমনি ভাবে একজন দূর্বল পুরুষকে শক্তিমান করে তোলে আবার তেজি পুরুষকে করে অক্ষম। আমি বরাবরই অহংকার করতাম নারীর প্রেম আমাকে কখনো ঘায়েল করতে পারেনা।
বিষয়টা খুবই সত্যি, জীবন চলার পথে অনেক মেয়ে বন্ধু জুটেছে তাদের সাথে অবলীলায় মনের হাসি-আনন্দ অথবা দুঃখ ভাগ করেছি। আমাদের সম্পর্ক স্রেফ বন্ধুত্বের বাঁধনে বাঁধা ছিলো। দু-একজন বিশেষ সম্পর্কের মৌন আহ্ববান করলে তাদেরকে এড়িয়ে চলেছি এবং আজো চলছি। কিন্তু সেই মনে হঠাৎ প্রেমের উদয় !! অত্যাশ্চার্য না হয়ে পারলামনা। নিজেই নিজেকে ধ্বিক্কার দিচ্ছি তারপরও যেন স্বস্তি পাচ্ছিনা। নীলাঞ্জনাকে আমি খুব ভালো করে চিনি, তাঁর প্রতি আমার কোন আকর্ষণই ছিলোনা। সেও আমার সাথে এমন কোন আচরণ করেনি যে আমি তাঁর প্রতি দূর্বল হয়ে পড়বো। এইতো মাত্র ক’দিন আগে আমার এক বন্ধুর সাথে ওর বিয়ে দেবার কি প্রচেষ্টাই না করেছিলাম, যদিও সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ। আমি অভিমানে অনেকদিন ওদের কারো সাথে কোন কথাই বলিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই সব হিসেব-নিকেষ পাল্টে গেলো। আমি আদৌ জানিনা হঠাৎ করেই কেন তাঁর প্রতি এতো আকর্ষণ বোধ করি ? আমার সব অহংকার তাশের ঘরের মত নিমিষেই গুড়িয়ে দিলো ! আমিতো সব সময় ওর সঙ্গে একটা দূরত্ব বজায় রেখে চলেছি। আমি জানি আমি কখনোই আমার এ ভালোবাসা তাঁর কাছে প্রকাশ করতে পারবোনা, অপ্রকাশিত হয়েই রয়ে যাবে আমার প্রথম ভালোবাসা। হয়তোবা আমি কোন এক সুযোগে আমার অনুভূতি প্রকাশ করলাম তাঁর কাছে তখন সে কি করবে ? আমাকে তাঁর ভালোবাসার পরশে টেনে নেবে নাকি সীমা হীন ঘৃণায় মুখটা ফিরিয়ে নেবে ? আমি হয়তো ওর ভালোবাসা পাবোনা কিন্তু কখনোই ঘৃণা চাইনা। নিজের মনে ভালোবাসার জাল বুনেই যাবো কিন্তু না পাবার বেদনা কিংবা ঘৃণার অনলে পুড়তে চাইনা। নিজের সাথেই অভিনয় করে যাবো মন্দ হবেনা হয়তো।
বিষয়টা খুবই সত্যি, জীবন চলার পথে অনেক মেয়ে বন্ধু জুটেছে তাদের সাথে অবলীলায় মনের হাসি-আনন্দ অথবা দুঃখ ভাগ করেছি। আমাদের সম্পর্ক স্রেফ বন্ধুত্বের বাঁধনে বাঁধা ছিলো। দু-একজন বিশেষ সম্পর্কের মৌন আহ্ববান করলে তাদেরকে এড়িয়ে চলেছি এবং আজো চলছি। কিন্তু সেই মনে হঠাৎ প্রেমের উদয় !! অত্যাশ্চার্য না হয়ে পারলামনা। নিজেই নিজেকে ধ্বিক্কার দিচ্ছি তারপরও যেন স্বস্তি পাচ্ছিনা। নীলাঞ্জনাকে আমি খুব ভালো করে চিনি, তাঁর প্রতি আমার কোন আকর্ষণই ছিলোনা। সেও আমার সাথে এমন কোন আচরণ করেনি যে আমি তাঁর প্রতি দূর্বল হয়ে পড়বো। এইতো মাত্র ক’দিন আগে আমার এক বন্ধুর সাথে ওর বিয়ে দেবার কি প্রচেষ্টাই না করেছিলাম, যদিও সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ। আমি অভিমানে অনেকদিন ওদের কারো সাথে কোন কথাই বলিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই সব হিসেব-নিকেষ পাল্টে গেলো। আমি আদৌ জানিনা হঠাৎ করেই কেন তাঁর প্রতি এতো আকর্ষণ বোধ করি ? আমার সব অহংকার তাশের ঘরের মত নিমিষেই গুড়িয়ে দিলো ! আমিতো সব সময় ওর সঙ্গে একটা দূরত্ব বজায় রেখে চলেছি। আমি জানি আমি কখনোই আমার এ ভালোবাসা তাঁর কাছে প্রকাশ করতে পারবোনা, অপ্রকাশিত হয়েই রয়ে যাবে আমার প্রথম ভালোবাসা। হয়তোবা আমি কোন এক সুযোগে আমার অনুভূতি প্রকাশ করলাম তাঁর কাছে তখন সে কি করবে ? আমাকে তাঁর ভালোবাসার পরশে টেনে নেবে নাকি সীমা হীন ঘৃণায় মুখটা ফিরিয়ে নেবে ? আমি হয়তো ওর ভালোবাসা পাবোনা কিন্তু কখনোই ঘৃণা চাইনা। নিজের মনে ভালোবাসার জাল বুনেই যাবো কিন্তু না পাবার বেদনা কিংবা ঘৃণার অনলে পুড়তে চাইনা। নিজের সাথেই অভিনয় করে যাবো মন্দ হবেনা হয়তো।
(আমার অপ্রকাশিত গল্প “বৈরীতা” থেকে নেয়া, বাস্তবের কোন চরিত্রের সাথে মেলানো বোকামীর নামান্তর)